চট্টগ্রামের আগ্রাবাদের প্রগ্রেসিভ টাওয়ারে বাংলাদেশ চা ব্যবসায়ী সমিতির চায়ের নিলাম অনুষ্ঠিত হয়
চট্টগ্রামের আগ্রাবাদের প্রগ্রেসিভ টাওয়ারে বাংলাদেশ চা ব্যবসায়ী সমিতির চায়ের নিলাম অনুষ্ঠিত হয়

প্রথম নিলামে সোয়া ১৪ লাখ কেজি চা

চায়ের নতুন মৌসুমের সাপ্তাহিক নিলাম আজ সোমবার সকালে শুরু হয়েছে। চট্টগ্রামের আগ্রাবাদের প্রগ্রেসিভ টাওয়ারে প্রথম নিলামে ১৪ লাখ ২৫ হাজার কেজি চা তোলা হয়েছে। বাংলাদেশ চা বোর্ডের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ চা ব্যবসায়ী সমিতি এই নিলামের আয়োজন করেছে।

চা বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, এবার ২০২৪–২৫ মৌসুমে (২৯ এপ্রিল ২০২৪ থেকে ২৩ এপ্রিল ২০২৫) মোট ১০০টি নিলাম অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে চট্টগ্রামে ৫০টি, সিলেটের শ্রীমঙ্গলে ২৬টি এবং পঞ্চগড়ে ২৪টি নিলাম অনুষ্ঠিত হবে।

বাংলাদেশ চা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি শাহ মঈনুদ্দিন হাসান প্রথম আলোকে বলেন, সকাল সাড়ে আটটায় শুরু হওয়া নতুন মৌসুমের প্রথম নিলামে ক্রেতাদের ভালো উপস্থিতি রয়েছে। নিলাম শেষে জানা যাবে প্রথম নিলামে কেমন সাড়া পড়েছে।

চা এমন একটি পণ্য, যেটি নিলামে তুলে বিক্রি করতে হয় উৎপাদকদের। সাধারণত বাগানমালিকেরা বাগান থেকে পাতা তুলে চা তৈরির পর তা গুদামে পাঠান। ব্রোকার্স প্রতিষ্ঠানগুলো সেখান থেকে নমুনা সংগ্রহ করে। নমুনা অনুযায়ী চায়ের মান নির্ধারণ করে তারা। এরপর প্রতি সপ্তাহে নিলামে সর্বোচ্চ দরদাতার কাছে চা বিক্রি করা হয়।

লট অনুযায়ী সর্বোচ্চ দরদাতারা কর ও ফি পরিশোধ করে গুদাম থেকে চা তুলে নেন। এর বাইরে বাগানমালিকেরা চাইলে নিজস্ব বাগানের উৎপাদিত চায়ের ২৫ শতাংশ নির্ধারিত পরিমাণ কর দিয়ে প্যাকেটজাত করতে পারেন।

এবার প্রথম নিলাম ঘিরে উৎপাদক ও ক্রেতাদের বিশেষ আগ্রহ লক্ষ করা গেছে। কারণ, প্রথম নিলামে ন্যূনতম মূল্য বা ফ্লোরপ্রাইস অনুযায়ী চা বেচাকেনায় একমত হয়েছেন ক্রেতা–বিক্রেতারা। তবে নিলামে সেটা বাস্তবায়ন হয় কি না, তা নিয়েই এই আগ্রহ।