কান্তজির মন্দির
কান্তজির মন্দির

কান্তজিউ মন্দির অঙ্গনে মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগে উদ্বেগ

দিনাজপুরের কান্তজিউ মন্দির অঙ্গনে মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ১৭ জন বিশিষ্ট নাগরিক। তাঁরা বলেন, কান্তজিউ মন্দির সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পবিত্র তীর্থস্থান। এই পুরাকীর্তি মন্দির বাংলার ঐতিহ্যবাহী টেরাকোটা শিল্পের অনুপম নিদর্শন। গৌরবের এই স্মারককে কোনোভাবেই হুমকির মুখে ফেলা যাবে না।

আজ রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বিশিষ্ট নাগরিকেরা এই উদ্বেগের কথা জানান। দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলায় ঐতিহ্যবাহী কান্তজিউ মন্দিরের জমিতে মসজিদ নির্মাণের খবর সম্প্রতি একটি দৈনিকে প্রকাশিত হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, মহারাজা প্রাণনাথ রায়ের উদ্যোগে ও অর্থায়নে নির্মিত মন্দিরের দেয়ালের টেরাকোটা শিল্পকর্ম শুধু বাংলাদেশের নয়, মানব ইতিহাসের শিল্প ও রুচিবোধের সাক্ষ্য বহন করছে। মন্দিরের গায়ের টেরাকোটায় শুধু রামায়ণের ঘটনা ও চরিত্র নয়, মুসলিম সম্প্রদায়ের মোগল সাম্রাজ্যের উল্লেখযোগ্য কীর্তিও তুলে ধরা হয়েছে।

মন্দির অঙ্গনের জমি দখল করে মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগের বিরুদ্ধে প্রশাসন, সামাজিক-সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক শক্তিগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, কান্তজিউ মন্দিরের নির্মাণশ্রমিকদের নামাজের সুবিধার জন্য মহারাজা প্রাণনাথ রায়ের অর্থায়নে নয়াবাদ মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছিল। অনিন্দ্যসুন্দর সেই মসজিদও একটি পুরাকীর্তি। মন্দির ও মসজিদ নির্মাণে যুক্ত শ্রমিকদের অধিকাংশ ছিলেন মুসলিম। সম্প্রীতির এমন নিদর্শন বিরল। সেই মহত্ত্বের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে এ জাতি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ করে বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছে।

বিবৃতিদাতারা হলেন সৈয়দ হাসান ইমাম, অনুপম সেন, সারওয়ার আলী, রামেন্দু মজুমদার, আবেদ খান, ফেরদৌসী মজুমদার, মামুনুর রশীদ, মফিদুল হক, নাসির উদ্দীন ইউসুফ, মুনতাসীর মামুন, শাহরিয়ার কবীর, কেরামত মওলা, মিলনকান্তি দে, লাকী ইনাম, সারা যাকের, শিমূল ইউসুফ ও গোলাম কুদ্দুছ।