জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে গণহত্যার বিচার, আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা, পুনর্বাসনসহ বিভিন্ন দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট। শহীদ পরিবারগুলোকে আর্থিক সহায়তা প্রদান, ছাত্র সংসদ নির্বাচন চালু, পোশাকশ্রমিকদের ন্যায্য দাবি মেনে নেওয়ার দাবি জানিয়েছে তারা।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনে এই সংবাদ সম্মেলনে ‘পদযাত্রা ও সমাবেশ’ কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের সমন্বয়ক সালমান সিদ্দিকী। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, এই আন্দোলনের যৌক্তিক এবং নৈতিক ভিত্তি তৈরি করতে হলে গণহত্যার সঙ্গে জড়িতদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
‘গণতান্ত্রিক ছাত্র জোট’–এর উদ্যোগে ৫ দফা দাবিতে আগামী বুধবার (২৭ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাহাদুর শাহ পার্ক পর্যন্ত ‘পদযাত্রা ও সমাবেশ’ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। এই পাঁচ দফা দাবি হলো—১. গণহত্যায় জড়িতদের বিচার করা, শহীদ পরিবারগুলোকে আর্থিক সহযোগিতা, আহত ব্যক্তিদের সুচিকিৎসা ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা। ২. অবিলম্বে ছাত্র সংসদ নির্বাচন দেওয়া। ৩. দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ করা। নিম্নআয়ের মানুষদের জন্য রেশন দেওয়াসহ সিন্ডিকেট এবং বড় ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য নিয়ন্ত্রণে রাষ্ট্রীয় বাণিজ্য চালু করা। ৪. শ্রমিক আন্দোলনে পুলিশি হামলা বন্ধ করাসহ পোশাকশ্রমিকদের বকেয়া বেতন-বোনাস পরিশোধ করা ও পোশাকশ্রমিক হত্যার বিচার করা। ৫. পুনর্বাসন ছাড়া রিকশাশ্রমিকদের হয়রানি করা বন্ধ করা।
সংবাদ সম্মেলন উপস্থিত ছিলেন গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের সভাপতি ছায়েদুল হক নিশান, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন সভাপতি মিতু সরকার, বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সভাপতি অঙ্কন চাকমাসহ গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের নেতা–কর্মীরা।