চট্টগ্রাম ১০ আসনের উপনির্বাচন

আওয়ামী লীগ-স্বেচ্ছাসেবক লীগের বিরুদ্ধে দুই দফা হামলার অভিযোগ স্বতন্ত্র প্রার্থীর, ভোট বর্জন

চট্টগ্রাম-১০ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আরমান আলী হামলার অভিযোগ করেছেন
ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম-১০ (পাহাড়তলী-ডবলমুরিং-হালিশহর-পাঁচলাইশ) আসনের উপনির্বাচনে দুই দফা হামলা ও মারধরের অভিযোগ তুলেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মোহাম্মদ আরমান আলী। তিনি নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।

আরমান আলীর অভিযোগ, আওয়ামী ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা-কর্মীরা নগরের ফইল্যাতলী বাজারে অবস্থিত প্রাণহরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ডা. ফজলুল হাজারা ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে তাঁর ওপর দুই দফা হামলা করেছেন।

চট্টগ্রাম-১০ (পাহাড়তলী-ডবলমুরিং-হালিশহর-পাঁচলাইশ) আসনের উপনির্বাচনে আরমান আলী বেলুন প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তিনি দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, নগরের ফইল্যাতলী বাজারে অবস্থিত প্রাণহরি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র পরিদর্শনে গেলে তাঁর ওপর হামলা হয়। সেখানে নেতা-কর্মীরা ধাক্কা দেন। মুঠোফোন কেড়ে নেন। টেনেহিঁচড়ে স্কুলের দ্বিতীয় তলা থেকে নিচতলায় নামান।

আরমান আলীর অভিযোগ, প্রাণহরি বিদ্যালয় থেকে কোনোভাবে বেঁচে তিনি ডা. ফজলুল হাজারা ডিগ্রি কলেজে যান। সেখানে আরেক দফায় হামলা হয়। হাত ধরে টানাটানি করেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। শার্ট ছিঁড়ে ফেলেন। মুঠোফোন কেড়ে নেন। পরে পুলিশ তাঁকে বাড়িতে পৌঁছে দেন।

নির্বাচন সুষ্ঠু হচ্ছে না। ভোটারদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন আরমান আলী। তিনি বলেন, শুধু নৌকার ভোটাররাই ভোট দিতে পারছেন। ১০টি কেন্দ্রে তিনি এজেন্ট দিয়েছিলেন। কিন্তু কাউকে দায়িত্ব পালন করতে দেওয়া হয়নি। সকালেই সবাইকে বের করে দেওয়া হয়েছে। এসব কারণে তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। বয়কট করেছেন।

আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. মহিউদ্দিন হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

পাহাড়তলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
উপনির্বাচনে মোট ১৫৬টি কেন্দ্রের ১ হাজার ২৫১টি কক্ষে ইভিএমের মাধ্যমে ভোট গ্রহণ করা হচ্ছে। কেন্দ্রগুলোর মধ্যে ৯৫টি সাধারণ, বাকি ৫৯ কেন্দ্রটি ‘গুরুত্বপূর্ণ’। গুরুত্বপূর্ণ এসব কেন্দ্রে বাড়তি নিরাপত্তা রয়েছে। ভোটের দিন চার প্লাটুন বিজিবি, র‍্যাবের চারটি টহল দল ও পর্যাপ্তসংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছেন।

এ উপনির্বাচনে মোট প্রার্থী ছয়জন। ধারণা করা হচ্ছে, মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. মহিউদ্দিন ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী শামসুল আলমের মধ্যে।

নির্বাচনের অপর প্রার্থীরা হলেন তৃণমূল বিএনপির দীপক কুমার পালিত (সোনালি আঁশ), বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোটের রশীদ মিয়া (ছড়ি), স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আরমান আলী (বেলুন) ও মনজুরুল ইসলাম ভূঁইয়া (রকেট)।