মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে এবার প্রথমবারের মতো ঢাকাসহ সব জেলা-উপজেলায় বসছে ‘বিজয় মেলা’। আগামীকাল সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) রাজধানীতে ‘বিজয় মেলা’ হবে পুরান ঢাকার জনসন রোডের ঢাকা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের প্রাঙ্গণে। সেখানে এখন চলছে শেষ মুহূর্তে প্রস্তুতি। ইতিমধ্যে ২২টি স্টল বসানো হয়েছে। জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের চারপাশের সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ চলছে।
আজ রোববার সরেজমিন দেখা যায়, বিজয় মেলা উপলক্ষে ঢাকা জেলা প্রশাসক কার্যালয় প্রাঙ্গণে সরকারি ২২টি প্রতিষ্ঠান স্টল দিয়েছে। এক নম্বর স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য। স্টলের নাম ‘এসো মুক্তিযুদ্ধের গল্প শুনি’। দুই ও তিন নম্বর স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ঢাকা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের ভূমি অধিগ্রহণ শাখা ও রাজস্ব শাখাকে।
এ ছাড়া স্টল দিয়েছে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক), এসএমই ফাউন্ডেশন, জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, জয়িতা ফাউন্ডেশন, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার, মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তর, বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড, বাংলাদেশ বাঁশ ও বেত শিল্প।
এসব প্রতিষ্ঠান নিজস্ব উৎপাদিত পণ্য মেলায় প্রদর্শন করবে। মেলা দিনভর চলবে। ঢাকা জেলা প্রশাসক কার্যালয় বলছে, পণ্য কেনাবেচার চেয়ে তাদের মূল লক্ষ্য প্রদর্শনী।
আজ অনেককে স্টলে ঘুরতে দেখা গেছে। মেলায় কী কী পণ্য থাকবে, তা জানতে এসেছেন অনেকে। আবার কেউ এসেছে স্টল দেওয়া যাবে কি না, তা জানতে।
এসএমই ফাউন্ডেশনসহ সরকারের একাধিক দপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তাঁরা আরও বেশি স্টল চেয়েছিলেন। কিন্তু স্থানের অভাবে বেশি স্টল পাওয়া যায়নি।
ঢাকা জেলা প্রশাসক কার্যালয় জানিয়েছে, এবারের মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিজয় মেলার পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। ঢাকা জেলা প্রশাসক কার্যালয় এবার ১৩০ জন মুক্তিযোদ্ধাকে সংবর্ধনা দেবে। আগামীকাল বেলা ১১টায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শুরু হবে। মুক্তিযোদ্ধাদের উপহার হিসেবে প্রাইজবন্ড দেওয়া হবে। এর আগে সকাল সাড়ে ১০টায় বিজয় মেলা শুরু হবে।
স্টল সাজানো ও সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ পাওয়া প্রতিষ্ঠান উইনার ইভেন্ট লজিস্টিকসের সমন্বয়ক শাহ মোহাম্মদ জীবন প্রথম আলোকে বলেন, ব্যানার-ফেস্টুন দিয়ে পুরো এলাকা সাজানো হচ্ছে। সাধারণ মানুষের ছবি তোলার জন্য ফটো বুথ বানানো হয়েছে।
ঢাকার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ফুয়ারা খাতুন প্রথম আলোকে বলেন, বিজয় মেলা প্রথমে শিল্পকলা একাডেমির সামনে করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু নানা বাস্তবতায় সেখানে করা যায়নি। তাই ঢাকা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে করতে হচ্ছে। এক দিনের মেলায় পণ্য বেচাকেনার চেয়ে প্রদর্শনের ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। সাধারণ মানুষদের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
মেলায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের দুটি শাখাকে বরাদ্দ দেওয়ার বিষয়ে ফুয়ারা খাতুন বলেন, এ দুটি শাখা কী ধরনের কাজ করে, তা সাধারণ মানুষের সামনে তুলে ধরা হবে।