ঢাকার প্রবেশপথগুলোতে আজ শনিবার বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিকে ঘিরে অন্তত পাঁচটি জায়গায় সংঘর্ষ, বাসে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় বিএনপির নেতা–কর্মীদের পাশাপাশি পুলিশেরও বেশ কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছেন। গ্রেপ্তার করা হয়েছে বিএনপির অনেক নেতা–কর্মীকে। রাজপথে সংঘাত–সহিংসতার ঘটনা নিয়ে প্রথম আলো কথা বলেছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের সঙ্গে। মুঠোফোনে তাঁর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক আহমদুল হাসান।
প্রথম আলো: ঢাকার অন্তত পাঁচটি জায়গায় আজ বিএনপির সঙ্গে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অনেকে আহত হয়েছেন। বিএনপির অনেক নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার হয়েছেন। এই পরিস্থিতি এড়ানো যেত কি না?
আসাদুজ্জামান খান: পুরো পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে, ২০১৪-১৫ সালে বিএনপি যে সহিংসতা করেছে, অগ্নিসন্ত্রাস করেছে, মানুষ পুড়িয়েছে, ঢাকাকে অবরোধের মতো করেছে, সেই অবস্থারই পুনরাবৃত্তিই তারা (বিএনপি) করছে। তারা (বিএনপি) ঢাকার প্রবেশমুখগুলো অর্থাৎ গাবতলী, বাবুবাজার, যাত্রাবাড়ী, আবদুল্লাহপুরে অবস্থান নিয়েছিল বাঁশের লাঠি ও পেট্রলবোমা নিয়ে। এ ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশ প্রস্তুত ছিল না। তারা পুলিশকে ধাওয়া দিয়েছে, হামলা করেছে, রাস্তা বন্ধ করে দিয়ে জনচলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। তারা (বিএনপি) ছয়টি বাস পুড়িয়েছে, গাড়িও ভাঙচুর করেছে। পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় অনেক পুলিশ আহত হয়েছে। পুলিশ ধৈর্য নিয়ে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছে।
প্রথম আলো: বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে, আওয়ামী লীগ লাঠিসোঁটা নিয়ে বিএনপির ওপর চড়াও হয়েছে। পুলিশের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাও হামলায় অংশ নিয়েছেন। এই অভিযোগের বিষয়ে কী বলবেন?
আসাদুজ্জামান খান: আওয়ামী লীগ লাঠিসোঁটা নিয়ে অবস্থান নিলে পুলিশ বা আওয়ামী লীগের কেউ আহত হতেন না। উল্টো বিএনপি আড়াই ফুটের বাঁশের লাঠি, পেট্রলবোমাসহ অবস্থান নিয়ে রাস্তা বন্ধ করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করেছে। পুলিশের ওপর চড়াও হয়েছে।
প্রথম আলো: বিএনপি অভিযোগ করেছে, পুলিশ দিয়ে বিরোধী দলের কর্মসূচি দমনের চেষ্টা করছে সরকার। কর্মসূচিতে বাধা দেওয়ার পাশাপাশি গ্রেপ্তার করা হচ্ছে নেতা-কর্মীদের। বিএনপিকে দমন করার চেষ্টা করছে। এ বিষয়ে কী বলবেন?
আসাদুজ্জামান খান: বিএনপি এর আগে সমাবেশ করেছে, পদযাত্রা কর্মসূচি করেছে। কোথাও বাধা দেওয়া হয়নি। আজকের কর্মসূচি ঘিরে বিএনপি রাস্তায় যানবাহন বন্ধ করে অবস্থান নিয়েছিল। মানুষের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে যতটুকু ব্যবস্থা নেওয়া দরকার, সেটা পুলিশ নিয়েছে। তারা (বিএনপি) রাস্তা অবরোধ করবে, এটা তো আইন অনুযায়ী নিষিদ্ধ। সে কারণেই পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে হয়েছে। এখানে দমনের কিছু নেই।