রোজায় কীভাবে দিন চালাবে, তা নিয়ে জনগণ শঙ্কিত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেছেন, রমজান মাস আসার আগেই বাজারের দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণহীন। এই সরকারের জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা নেই। এই সরকারের বিদায় যত দ্রুত হবে, দেশের গণতন্ত্র–অর্থনীতি তত দ্রুত মুক্তি পাবে।
আজ শনিবার রাজধানীর বাড্ডায় মানববন্ধন কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে খন্দকার মোশাররফ এসব কথা বলেন। সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবি আদায়ে যুগপৎ কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই মানববন্ধনের আয়োজন করে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি।
বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত উত্তরার আবদুল্লাহপুর থেকে বিমানবন্দর-যমুনা ফিউচার পার্ক-বাড্ডা-রামপুরা হয়ে মালিবাগ রেলগেট পর্যন্ত মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত করে উত্তর বিএনপি।
খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘এই সরকার গায়ের জোরে ক্ষমতায় থাকতে জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। বর্তমান সরকার গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করবে না। অর্থনীতি মেরামত করতে পারবে না। মেগা প্রকল্পের নামে মেগা দুর্নীতি হচ্ছে। ব্যাংকগুলো ধ্বংসের পথে। এই সরকারের বিদায় দ্রুত হতে হবে।’
জনগণ রাজপথে ফয়সালা নিতে প্রস্তুত জানিয়ে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, গত দুটি নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হয়নি। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় চায় আগামী নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হোক। এই সরকার ১০ দফা দাবি মেনে নেবে না। তাই গণ-অভ্যুত্থানের বিকল্প নেই। জনগণ আওয়াজ তুলেছে। এসব কর্মসূচি প্রস্তুতিরই অংশ।
মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে ১৮ মার্চ দেশের সব মহানগরে সমাবেশের ঘোষণা দেন খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
২০২৩ সালের মধ্যেই বর্তমান সরকারের বিদায় হবে বলে দাবি করেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান। তিনি বলেন, জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেওয়া চলমান আন্দোলন কর্মসূচির প্রধান লক্ষ্য। সরকার আন্দোলনে ভীত হয়ে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করে জেলে নিচ্ছে। আন্দোলনে জনগণের অংশগ্রহণ দেখে সরকারের মাথা খারাপ হয়ে গেছে।
মানববন্ধনে বাড্ডার বীর উত্তম রফিকুল ইসলাম অ্যাভিনিউয়ের (সাবেক প্রগতি সরণি) সুবাস্তু নজর ভ্যালি শপিংমলের সামনে কেন্দ্রীয় নেতারা অংশ নেন। ঢাকা উত্তরের সদস্যসচিব আমিনুল হক, বাড্ডা থানা বিএনপির আহ্বায়ক তাজুল ইসলাম, যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু আফসান মোহাম্মদ ইয়াহইয়াসহ সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।