আইইউবির সেন্টার ফর কগনিটিভ স্কিল এনহান্সমেন্ট (সিসিএসই) এর কম্পিউটার ল্যাবে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সনদ বিতরণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য তানভীর হাসান
আইইউবির সেন্টার ফর কগনিটিভ স্কিল এনহান্সমেন্ট (সিসিএসই) এর কম্পিউটার ল্যাবে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সনদ বিতরণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য তানভীর হাসান

আইইউবিতে মৌলিক পাইথন প্রোগ্রামিং কোর্স করলেন ১০ শিক্ষক

ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ (আইইউবি) এর কলা ও সামাজিক বিজ্ঞানসহ বিভিন্ন অনুষদের ১০ জন শিক্ষক মৌলিক পাইথন কম্পিউটার প্রোগ্রামিংয়ের কোর্স সম্পন্ন করেছেন। তাঁদের প্রশিক্ষণ দিয়েছেন একই বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তিনজন শিক্ষক। মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২১ ডিসেম্বর আইইউবির সেন্টার ফর কগনিটিভ স্কিল এনহান্সমেন্ট (সিসিএসই) এর কম্পিউটার ল্যাবে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সনদ বিতরণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য তানভীর হাসান। এ সময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন স্কুল অফ বিজনেস অ্যান্ড এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপের ডিন মেহেরুন আহমেদ এবং স্কুল অফ ইঞ্জিনিয়ারিং, টেকনোলজি অ্যান্ড সায়েন্সেসের ডিন মামুন বিন ইবনে রিয়াজ।

‘অটোমেট ইওর ডে উইথ পাইথন’ শিরোনামের চার সপ্তাহের এই বিশেষ কর্মশালাটি শেষ হয় ৭ই ডিসেম্বর। প্রযুক্তি ও প্রকৌশল অনুষদ ছাড়া অন্য অনুষদের শিক্ষকদের মাঝে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহারের সক্ষমতা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয় বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। পাইথনের পাশাপাশি তথ্য সংরক্ষণ এবং মাইক্রোসফট এক্সেল সম্পর্কে ওই ১০ শিক্ষককে ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।

আইইউবির ইংলিশ অ্যান্ড মডার্ন ল্যাংগুয়েজেস বিভাগের অধ্যাপক মাহমুদ হাসান খান বলেন, কর্মশালায় অংশ নেওয়ার পেছনে তাঁর মূল উদ্দেশ্য ছিল পাইথন ব্যবহার করে কীভাবে ‘বিগ ডাটা’ বিশ্লেষণ করা যায় তা জানা। তিনি মূলত ভাষাতত্ত্ব নিয়ে গবেষণা করেন। এর অংশ হিসেবে তাঁকে প্রচুর পরিমাণে লিখিত উপাত্ত নিয়ে কাজ করতে হয়।

উপাচার্য তানভীর হাসান বলেন, ‘আইইউবির “কোডিং ফর অল” কর্মসূচিটি বাংলাদেশে অনন্য। এর আওতায় আইইউবির প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্য কম্পিউটার প্রোগ্রামিং শেখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। দ্রুতগতির তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তির এই যুগে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের পূর্ণাঙ্গ সুফল পেতে হলে প্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষ হওয়ার কোনো বিকল্প নেই। শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি আমরা শিক্ষকদেরও প্রযুক্তি ব্যবহারের বিষয়ে আগ্রহী করে তোলার চেষ্টা করছি যেন তাঁরা অ্যাকাডেমিক কর্মকাণ্ডে আরও বেশি প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে পারেন।’