মামুনুল হক আরও তিন মামলায় জামিন পেলেন

মামুনুল হক
ছবি: ফেসবুক থেকে

ভাঙচুর ও পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে করা তিন মামলায় হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক তিন মাসের জামিন পেয়েছেন।

জামিন চেয়ে মামুনুল হকের করা পৃথক আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ মঙ্গলবার বিচারপতি হাবিবুল গনি ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ অন্তবর্তীকালীন এ জামিন দেন।

এর আগে ঢাকার পল্টন থানায় করা চারটি ও চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানায় করা একটি মামলায় ৩ মে হাইকোর্ট থেকে জামিন পান মামুনুল হক। নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় করা একটি ও সোনারগাঁ থানায় করা দুটি মামলায় আজ তিনি জামিন পান বলে জানান তাঁর আইনজীবী।

আইনজীবীর তথ্যমতে, মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ৪১টি মামলা রয়েছে। ইতিমধ্যে ১৮টি মামলায় তিনি জামিন পেয়েছেন। তিন মামলায় জামিনের মধ্য দিয়ে ২১টি মামলায় জামিন পেলেন তিনি।

ঢাকার পল্টন থানায় করা চারটি ও চট্টগ্রামের হাটহাজারী থানায় করা একটি মামলায় ৩ মে হাইকোর্ট থেকে জামিন পান মামুনুল হক। নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় করা একটি ও সোনারগাঁ থানায় করা দুটি মামলায় আজ তিনি জামিন পান বলে জানান তাঁর আইনজীবী।

আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী আনিসুর রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ মেহেদী হাছান চৌধুরী।

পরে আইনজীবী আনিসুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘২০২১ সালের মার্চে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় পুলিশ এবং একই বছরের এপ্রিলে পুলিশ ও যুবলীগ নেতা বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় পৃথক দুটি মামলা করেন। দুই বছর ধরে তিনি কারাগারে আছেন।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার মামলার এজাহারে তাঁর নাম নেই। এই মামলার তদন্ত শেষ হলেও সোনারগাঁ থানায় করা মামলা দুটির তদন্ত এখনো শেষ হয়নি। যে মামলার তদন্ত শেষ হয়েছে, সেটিতে তাঁর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও নেই। রাজনৈতিক হয়রানির উদ্দেশ্যে এ মামলা—এসব যুক্তিতে জামিন চাওয়া হয়। শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট তিন মাসের জন্য মামুনুল হককে অন্তবর্তীকালীন জামিন দিয়েছেন।’

২০২১ সালের ৩ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রয়েল রিসোর্টে একটি কক্ষে কথিত স্ত্রীসহ মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করে স্থানীয় ছাত্রলীগ-যুবলীগ। পুলিশ গিয়ে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় হেফাজতে ইসলাম ও মাদ্রাসার ছাত্ররা রিসোর্টে হামলা চালিয়ে মামুনুল হক ও তাঁর কথিত স্ত্রীকে ছিনিয়ে নেন। ১৫ দিন পর ২০২১ সালের ১৮ এপ্রিল মামুনুল হককে মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদ্রাসা থেকে গ্রেপ্তার করে ঢাকার তেজগাঁও বিভাগের পুলিশ।