বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের নিয়ে জার্মানির সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলের প্রতিবেদনকে দেশবিরোধী বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘের মহাসচিব ও এর কর্তাব্যক্তিরাসহ সারা বিশ্ব বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের প্রশংসা করছে। সেই শান্তিরক্ষীদের নিয়ে ডয়চে ভেলের নেতিবাচক প্রতিবেদন অন্তসারশূন্য ও দেশবিরোধী।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আজ সোমবার দুপুরে ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন। গত ২৭ থেকে ২৯ মে অ্যান্টিগায় ক্ষুদ্র দ্বীপ উন্নয়নশীল রাষ্ট্রের চতুর্থ সম্মেলনে যোগ দেন এবং ৩০ ও ৩১ মে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে ধারাবাহিক সভা শেষে গতকাল রোববার সন্ধ্যায় দেশে ফেরেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
সংবাদ সম্মেলনে ডয়চে ভেলের প্রতিবেদন বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ডয়চে ভেলের প্রতিবেদনের সারমর্ম বোঝা বড় মুশকিল। কারণ, কোনো তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে ওই প্রতিবেদন করা হয়নি। জাতিসংঘের শান্তি রক্ষা বাহিনীতে আমাদের অবদানকে খাটো করার জন্য সেটি ইচ্ছাকৃতভাবে করা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘ডয়চে ভেলে মাঝেমধ্যেই এমন প্রতিবেদন করে, যা দেশের স্বার্থবিরোধী এবং দেশের মর্যাদা ক্ষুণ্ন (আন্ডারমাইন) করে। ঠিক ডয়চে ভেলে নয়; বরং সেখানে কিছু বাঙালি আছে, তারা এগুলোর সঙ্গে যুক্ত। বড় কথা, ডয়চে ভেলের প্রতিবেদনটি অসার, অন্তঃসারশূন্য, সেখানে অর্থপূর্ণ বা বিবেচনাযোগ্য (সাবস্ট্যানটিভ) কিছু নেই।’
হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা জাতিসংঘে অত্যন্ত দক্ষতা ও সুনামের সঙ্গে কাজ করছেন। জাতিসংঘ মহাসচিব তাঁর (পররাষ্ট্রমন্ত্রী) সঙ্গে সাক্ষাতে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। মন্ত্রী বলেন, ‘শান্তিরক্ষী দিবসের অনুষ্ঠানে জাতিসংঘের অন্যান্য কর্তাব্যক্তিরাও আমাদের বাহিনীর দক্ষতার প্রশংসা করেছেন এবং এ পর্যন্ত বাংলাদেশের ১৬৯ জন শান্তিরক্ষী জাতিসংঘের বিভিন্ন মিশনে দায়িত্বপালনকালে আত্মদান করেছেন, সেটিও বিশ্বময় অত্যন্ত সম্মানিত হয়েছে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যেখানে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের বিশ্বময় প্রশংসা হচ্ছে, সেখানে ডয়চে ভেলের প্রতিবেদনের কোনো মূল্য নেই।