ঢাকা উত্তর সিটির আওতাধীন যেসব ওয়ার্ডে জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধন কার্যক্রম বন্ধ ছিল, তা আজ বুধবার থেকে আবার চালু হয়েছে। এখন থেকে ঢাকা উত্তর সিটির সব ওয়ার্ডেই এ সেবা পাওয়া যাবে। সংস্থাটির আঞ্চলিক কার্যালয়গুলো থেকে বাসিন্দারা এ সেবা পাবেন।
গত ২৬ সেপ্টেম্বর সারা দেশের বিভিন্ন সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের অপসারণ করা হলে ঢাকা উত্তর সিটির ১ থেকে ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধন কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। যদিও গত ৫ আগস্টের পর অধিকাংশ ওয়ার্ড কাউন্সিল পলাতক থাকায় কার্যত এ সেবা দেওয়া বন্ধ ছিল।
আর ঢাকা উত্তর সিটির আওতাধীন ৩৭ থেকে ৫৪ নম্বর ওয়ার্ডে এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হতো আঞ্চলিক কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা এবং ওই দপ্তরের একজন সহকারী নিবন্ধকের সহায়তায়। তাই ওই সব ওয়ার্ডে এ সেবা চলমান ছিল।
বাসিন্দাদের নিরবচ্ছিন্নভাবে জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধন সেবা দিতে আজ থেকে ঢাকা উত্তর সিটির আঞ্চলিক কার্যালয়গুলোর বিভিন্ন পদের কর্মকর্তাদের নিবন্ধকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে আগের মতোই প্রতি ওয়ার্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত ওয়ার্ড সচিবেরা সহকারী নিবন্ধকের দায়িত্ব পালন করবেন।
ঢাকা উত্তর সিটির অঞ্চল–৪–এর প্রশাসনিক কর্মকর্তা তুফনী লাল রবি দাস প্রথম আলোকে জানান, আজ বেলা সাড়ে তিনটা পর্যন্ত তাঁর কাছে আটটি জন্মনিবন্ধনের আবেদন এসেছিল। সব কটি আবেদনের সনদ দেওয়া হয়েছে।
জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধন পেতে যেকোনো সেবাগ্রহীতাকে প্রথমে অনলাইনের -এই লিংকে গিয়ে আবেদনসহ প্রয়োজনীয় কাগজের অনুলিপি (হাসপাতাল থেকে দেওয়া জন্ম-মৃত্যুর সনদ, টিকা কার্ড, অভিভাবকের জন্মসনদ, জাতীয় পরিচয়পত্র, বাড়ি/ফ্ল্যাটের প্রমাণ ইত্যাদি) দিতে হবে। পরে দায়িত্বপ্রাপ্ত ওয়ার্ড সচিবের কাছে আবেদনের অনুলিপি ও আবেদনের সময় অনলাইনে জমা দেওয়া কাগজপত্রের ফটোকপি প্রমাণ হিসেবে জমা দিতে হবে। ওয়ার্ড সচিব সেসব কাগজপত্র যাচাই করে সার্ভারে আবেদনটি গ্রহণ করবেন এবং নিবন্ধনের জন্য ‘সফটওয়্যারে ফরোয়ার্ড’ করবেন। সেই আবেদনে নিবন্ধকের অনুমোদনের পর এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে।
এরপর গ্রাহক মুঠোফোনে নিবন্ধনপ্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার একটি খুদে বার্তা পাবেন। পরবর্তী সময়ে নিবন্ধন সহকারী (ওয়ার্ড সচিব) ওই সনদ প্রিন্ট করে নিবন্ধক ও সহকারী নিবন্ধকের সিল-স্বাক্ষর দিয়ে গ্রাহকের জন্য প্রস্তুত রাখবেন। আবেদনকারী আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে সেই সনদ সংগ্রহ করতে পারবেন।