অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড থেকে খালাস পেয়েছেন রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ। বিচারিক আদালতের দেওয়া এই সাজার রায়ের বিরুদ্ধে তাঁর করা আপিল মঞ্জুর করে বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাস ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বৃহস্পতিবার এ রায় দেন।
ওই মামলায় ২০২০ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর রায় দেন ঢাকা মহানগরের ১ নম্বর স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল। রায়ে অস্ত্র আইনের দুটি ধারার একটিতে সাহেদকে যাবজ্জীবন ও অপরটিতে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। দুটি সাজা একত্রে চলবে বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়। সাজার রায়ের বিরুদ্ধে ওই বছরই হাইকোর্টে আপিল করেন সাহেদ।
আদালতে সাহেদের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও শাহ মঞ্জুরুল হক। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন।
রায়ের পর জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক প্রথম আলোকে বলেন, উদ্ধার করা অস্ত্রে দুই দেশের নাম লেখা ছিল। জাপান অ্যান্ড চায়না। জাপান হলে জাপান লেখা থাকবে আর চায়না হলে চায়না। একটি অস্ত্রের গায়ে দুটি লেখা থাকতে পারে না। শুনানিতে যুক্তি ছিল অস্ত্রটাই ফেক (নকল)। ২০২০ সালের ১৮ জুলাই গাড়ি থেকে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়, পরদিন চাবি উদ্ধার হয়—এটি সংগতিপূর্ণ নয়। অর্থাৎ উদ্ধার প্রক্রিয়া যথাযথভাবে হয়নি। আদালত আপিল মঞ্জুর করে সাহেদকে খালাস দিয়েছেন। অন্য মামলা থাকায় সাহেদ এখনই মুক্তি পাচ্ছেন না বলে জানান এই আইনজীবী।
২০২০ সালের ৭ জুলাই রাজধানীর উত্তরার রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযান চালায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) ভ্রাম্যমাণ আদালত। হাসপাতাল থেকে ভুয়া করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় র্যাব বাদী হয়ে সাহেদসহ ১৭ জনের নামে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা করে। মামলার ৯ দিনের মাথায় ১৫ জুলাই সাহেদকে সাতক্ষীরা থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। এরপর তাঁকে নিয়ে উত্তরায় অভিযান চালিয়ে অস্ত্র উদ্ধার করে সংস্থাটি। এ নিয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় র্যাব অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনে ওই মামলা করে।