বাংলাদেশের ভোটারদের মধ্যে ৫৩ শতাংশ মনে করেন দেশ ভুল পথে যাচ্ছে। এ জন্য দ্রব৵মূল্যের ঊর্ধ্বগতিকে প্রধান কারণ বলে মনে করেন তাঁদের ৫০ শতাংশ। অপরদিকে ৪৪ শতাংশ মানুষ মনে করেন দেশ সঠিক পথে এগোচ্ছে। এর প্রধান কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে দেশের সামগ্রিক উন্নয়নকে। যদিও ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে জরিপের ফল ছিল, ৭৬ শতাংশ মানুষ মনে করেন দেশ সঠিক পথে রয়েছে।
ওয়াশিংটনভিত্তিক অলাভজনক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটের (আইআরআই) এক জনমত জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। গত ১ মার্চ থেকে ৬ এপ্রিল পর্যন্ত জরিপটি চালানো হয়। জরিপে অংশ নেন দেশের ৬৪টি জেলার ৫ হাজার প্রাপ্তবয়স্ক নারী-পুরুষ। জরিপের তত্ত্বাবধায়ন করেছে রেডস্টোন সায়েন্টিফিক।
আইআরআইয়ের ওয়েবসাইটে গতকাল মঙ্গলবার জরিপে ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে বলা হয়, ২০১৪ সালের পর এই প্রথম দেশ সঠিক পথে এগোচ্ছে না বলে বেশির ভাগ মত এসেছে।
২০২৪ সালের জানুয়ারির আগে বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। জরিপে উঠে এসেছে, বিভিন্ন ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সরকারের কার্যক্রমের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন ৭০ ভাগ মানুষ। অপরদিকে বিরোধী দলের প্রতি জনমত আগের চেয়ে বেড়েছে। দেশের ৬৩ শতাংশ মানুষের সমর্থন পেয়েছে বিরোধী দল, যা ২০১৯ সালে ছিল ৩৬ শতাংশ।
জরিপের ফলে দেখা গেছে, নির্বাচনে স্বচ্ছতা ও সুষ্ঠুতা থাকলে বেশির ভাগ বাংলাদেশি আগামী নির্বাচনে ভোট দিতে আগ্রহী। জরিপে অংশ নেওয়া ৯২ শতাংশ জানিয়েছেন, আগামী নির্বাচনে তাঁদের ভোট দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আর যাঁরা ভোট দিতে চান না, তাঁরা এর পেছনে প্রধান কারণ হিসেবে দেখিয়েছেন নির্বাচনে কারচুপি ও ভোটারদের নিবন্ধনসংক্রান্ত বিষয়গুলোকে।
জরিপ অনুযায়ী, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন আয়োজনের পক্ষে মত দিয়েছেন ৪৪ শতাংশ মানুষ। এর বিপরীতে বেশির ভাগ মানুষ মনে করেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়াই বিরোধী দলকে নির্বাচনে অংশ নেওয়া উচিত।
জরিপের বিষয়ে আইআরআইয়ের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক পরিচালক স্টিভ চিমা বলেন, একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনের প্রতি মানুষের সমর্থন উঠে আসাটা উৎসাহব্যঞ্জক।
বাংলাদেশে আগামী জানুয়ারির মধ্যে সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে।