বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় গুলি করে হত্যার পৃথক ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর কার্যালয়ে আজ রোববার পাঁচটি অভিযোগ করা হয়েছে। এসব অভিযোগে বেশ কয়েক সাবেক মন্ত্রী, পুলিশ কর্মকর্তাসহ অন্যদেরও আসামি করা হয়েছে।
এ নিয়ে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় ১৩টি এবং চিফ প্রসিকিউটরের কার্যালয়ে ৬টি অভিযোগ করা হয়েছে।
ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম প্রথম আলোকে বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় গত ২০ জুলাই ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কে এবং গত ১৯ জুলাই ও গত ৫ আগস্ট ঢাকায় গুলি করে ছয়জনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এসব ঘটনায় নিহত ব্যক্তিদের পরিবারগুলো মানবতাবিরোধী ও গণহত্যার পৃথক পাঁচটি অভিযোগ দাখিল করেন। অভিযোগগুলো গ্রহণ করা হয়েছে।
এই প্রসিকিউটরের তথ্য অনুসারে, গত ২০ জুলাই বেলা ১১টায় ময়মনসিংহ–কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের ওপর কলেজ ছাত্র নুরে আলম সিদ্দিকী রাকিব ও জুবায়েরকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় রাকিবের বাবা আবদুল হালিম ও জুবায়েরের বাবা আনোয়ার উদ্দিন অভিযোগ করেছেন। এতে শেখ হাসিনাসহ ৬৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। গত ১৯ জুলাই সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় বাড্ডার ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে একাদশ শ্রেণির ছাত্র মো. মারুফ হোসেনকে (১৯) গুলি করে হত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ ২৮ জনকে আসামি করে আরেকটি অভিযোগ করেছেন তাঁর বাবা মোহাম্মদ ইদ্রিস।
প্রসিকিউটর জানান, গত ১৯ জুলাই বিকেল পাঁচটায় উত্তরা আবদুল্লাপুর এলাকায় এইচএসসি পরীক্ষার্থী ফয়সাল সরকারকে গুলি করে হত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে নিহত শিক্ষার্থীর বাবা শফিকুল ইসলাম সরকার একটি অভিযোগ করেছেন। একই দিন বেলা তিনটায় মিরপুর–১০ নম্বর গোলচত্বর এলাকায় দশম শ্রেণির ছাত্র মাহফুজুর রহমানকে (১৫) গুলি করে হত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ ৭৬ জনকে আসামি করে অপর অভিযোগটি করেছেন নিহত শিক্ষার্থীর বাবা আবদুল মান্নান। গত ৫ আগস্ট বিকেল পাঁচটায় উত্তরা (আজমপুর ফুটওভার ব্রিজের পূর্ব পাশে) সপ্তম শ্রেণির ছাত্র সামিউ আমান নুরকে (১৩) গুলি করে হত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ ৫৮ জনকে আসামি করে আরেকটি অভিযোগ করেন নিহত শিক্ষার্থীর বাবা মোহাম্মদ আমানুল্লাহ্।