মহেশখালীর সোনাদিয়া দ্বীপে খননযন্ত্র দিয়ে বাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছে, গাছ কাটা হচ্ছে। সবই চিংড়িঘের নির্মাণের প্রস্তুতি। গত ৫ মে
মহেশখালীর সোনাদিয়া দ্বীপে খননযন্ত্র দিয়ে বাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছে, গাছ কাটা হচ্ছে। সবই চিংড়িঘের নির্মাণের প্রস্তুতি। গত ৫ মে

সোনাদিয়া দ্বীপের ম্যানগ্রোভ বন ধ্বংসের কার্যক্রম বন্ধে ব্যবস্থা নিতে আইনি নোটিশ

কক্সবাজারের মহেশখালীর সোনাদিয়া দ্বীপ ও আশপাশের এলাকায় বিস্তৃত ম্যানগ্রোভ বন ধ্বংসের কার্যক্রম বন্ধে ও অবৈধ চিংড়িঘের উচ্ছেদে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। পরিবেশসচিব, বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষের (বেপজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, প্রধান বন সংরক্ষক, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারসহ ১২ কর্মকর্তা বরাবর এ নোটিশ পাঠানো হয়।

আইনজীবী মো. রহিম উল্লাহ, মহেশখালী উপজেলা প্রেসক্লাবের সদস্য এম আজিজ সিকদার, মো. ইউনুস ও সিরাজুল মোস্তফার পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেন বৃহস্পতিবার এ নোটিশ পাঠান।

‘সংকটাপন্ন সোনাদিয়ায় গাছ কেটে আওয়ামী লীগ নেতার মাছ চাষ’ ও ‘প্যারাবন কেটে আরও চিংড়িঘের তৈরি’ শিরোনামে প্রথম আলোতে প্রকাশিত প্রতিবেদন আইনি নোটিশে যুক্ত করা হয়েছে।

জানতে চাইলে আইনজীবী মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, সোনাদিয়া দ্বীপ ও আশপাশের এলাকায় বিস্তৃত ম্যানগ্রোভ বন অবস্থিত। ১৯৯৯ সালে সরকার সোনাদিয়া দ্বীপকে প্রতিবেশগত সংকটাপন্ন এলাকা হিসেবে ঘোষণা করে।

সম্প্রতি এই দ্বীপ ও আশপাশের এলাকায় (ঘটিভাংগা, তাজিয়াকাটা ও হামিদার দিয়া) ম্যানগ্রোভ বন ধ্বংস করে অবৈধ চিংড়িঘের তৈরির কাজ চলছে। এ নিয়ে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। তবে এ বিষয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ না দেখে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। নোটিশে সোনাদিয়া দ্বীপে ম্যানগ্রোভ বন ধ্বংসের কার্যক্রম বন্ধ ও অবৈধ চিংড়িঘের উচ্ছেদে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ করা হয়েছে। তা না হলে উচ্চ আদালতে রিট করা হবে।