মতিউর রহমানসহ সব সাংবাদিকের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা প্রত্যাহারের দাবি সম্পাদক পরিষদের

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রয়োগে সংবাদকর্মীরা ক্রমাগতভাবে নিপীড়ন ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। এর ধারাবাহিকতায় এই আইনের ২৫(২), ৩১ ও ৩৫ ধারায় প্রথম আলোর সম্পাদক ও প্রকাশক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা এবং প্রতিবেদক শামসুজ্জামানকে কারাগারে পাঠানোর ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করছে সংবাদপত্রের সম্পাদকদের সংগঠন সম্পাদক পরিষদ। পরিষদের সভাপতি মাহ্‌ফুজ আনাম ও সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে এ উদ্বেগ জানান। তাঁরা অবিলম্বে এই আইনে সংবাদকর্মীদের নামে যতগুলো মামলা হয়েছে, সেসব মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।

সম্পাদক পরিষদের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গতকাল বুধবার এক বিবৃতিতে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা সব মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছিল পরিষদ। কিন্তু এরপরেও দুঃখজনকভাবে লক্ষ করা যাচ্ছে যে শামসুজ্জামানের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অপর দিকে আজ বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে দৈনিক যুগান্তরের বিশেষ প্রতিনিধি মাহবুবুল আলমের বিরুদ্ধে এই আইনে মামলা করা হয়েছে। অর্থাৎ সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে একের পর এক ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের সংবাদপত্রশিল্প ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর চরম আঘাত বলে সম্পাদক পরিষদ মনে করে।

সম্পাদক পরিষদ বলেছে, আইনমন্ত্রী ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার রোধে প্রয়োজনে বিধি সংশোধনের কথা বলেছিলেন এবং সাংবাদিকদের ক্ষেত্রে আইনের যথেচ্ছ ব্যবহার না করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর আশ্বাসের পরেও সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে এই আইনের অধীনে ক্রমবর্ধমান ঘটনাগুলো গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছে সম্পাদক পরিষদ। পাশাপাশি এই কাজগুলোকে সংবাদপত্রের স্বাধীনতার হুমকির স্পষ্ট উদাহরণ বলে মনে করে সম্পাদক পরিষদ।

সম্পাদক পরিষদ প্রথম আলোর সম্পাদক ও প্রকাশক মতিউর রহমান, প্রতিবেদক শামসুজ্জামান এবং দৈনিক যুগান্তরের বিশেষ প্রতিনিধি মাহবুবুল আলমের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাসহ এই আইনে সংবাদকর্মীদের নামে যতগুলো মামলা হয়েছে, অবিলম্বে সেসব মামলা প্রত্যাহার করার বিষয়ে পুনরায় জোরালো দাবি জানাচ্ছে।