সাবেক সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী, সাবেক সংসদ সদস্য এইচ এম ইব্রাহিম
সাবেক সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী, সাবেক সংসদ সদস্য এইচ এম ইব্রাহিম

নোয়াখালীতে সাবেক দুই সংসদ সদস্যসহ ৩৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা

নোয়াখালী ১ ও ৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এএইচ এম ইব্রাহীম ও মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরীসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের ৩৯ জনের বিরুদ্ধে আদালতে একটি হত্যা মামলা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয়ের আসামি করা হয়েছে দুই থেকে আড়াই হাজার জনকে। আজ সোমবার সকালে নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ওই মামলা দায়ের করা হয়।

৫ আগস্ট সোনাইমুড়ী থানার সামনে ছাত্র-জনতার সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত মো. আসিফের বাবা মো. মোরশেদ আলম বাদী হয়ে মামলাটি করেন। আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বাদীর অভিযোগ নিয়মিত মামলা হিসেবে নেওয়ার জন্য সোনাইমুড়ী থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন। জেলা জজ আদালতের পুলিশ পরিদর্শক শাহ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

মামলার এজাহারে বাদী অভিযোগ করেন,  ৫ আগস্ট দুপুরে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা ত্যাগের পর ছাত্র-জনতা আনন্দ মিছিল করতে যায়। ওই সময় মামলার সাবেক সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী, এইচ এম ইব্রাহীম ও সোনাইমুড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মমিনুল ইসলামের নির্দেশে অস্ত্রধারী আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা ওই আনন্দ মিছিলে হামলা ও গুলি চালায়। তখন উপস্থিত জনতা প্রাণ ভয়ে সোনাইমুড়ী থানায় আশ্রয় নেয়। একপর্যায়ে আসামিরা থানায় এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়লে মিছিলে থাকা আসিফ (২৪) গুলিবিদ্ধ হয়। পরবর্তীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৬ আগস্ট ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যায় অসিফ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মামলার প্রধান দুই আসামি সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী ও এইচ এম ইব্রাহিম ৫ আগস্টের পর থেকে আত্মগোপনে রয়েছেন। তবে মামলার ৩ নম্বর আসামি মমিনুল ইসলাম এলাকায় রয়েছেন। অন্য আসামির বেশির ভাগই বর্তমানে আত্মগোপনে রয়েছেন।

হত্যা মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে সোনাইমুড়ী থানার ওসি বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, আদালতের আদেশ পৌঁছালে সে অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।