আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে যে সম্পাদক ও সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা পড়েছে, তাঁদের প্রতি সুবিচার করা হবে বলে জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল।
আজ মঙ্গলবার বিকেলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ভবন সংস্কার ও মেরামতকাজ পরিদর্শন করতে যান আইন উপদেষ্টা। এ সময় একজন সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, ‘আমাদের প্রসিকিউশন টিম আছে, এটা তো মন্ত্রণালয়ের কাজ না। প্রসিকিউশন টিম ডিউ প্রসেস ফলো (যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ) করে, চুলচেরা বিশ্লেষণ করে পদক্ষেপ নেবেন। আমরা আপনাদের এইটুকু বলতে চাই, বিচার হবে, তবে সেটা সুবিচার।’
আসিফ নজরুল বলেন, জুলাই-আগস্টে ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে গুলি চালিয়ে কমপক্ষে দেড় হাজারের বেশি মানুষকে হত্যা করেছে তৎকালীন স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট রেজিম। তিনি বলেন, ‘মৃতদেহের আমরা নতুন সংখ্যা পাচ্ছি, সংবাদ পাচ্ছি। কমপক্ষে দেড় হাজার মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। হাজার হাজার মানুষের অঙ্গহানি ঘটেছে, গুরুতর আহত হয়েছেন, চিরদিনের জন্য বিকলাঙ্গ হয়ে গেছেন।’
আইন উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ কেন, উপমহাদেশের ইতিহাসে শান্তিকালীন সময়ে এত বড় গণহত্যার নজির কোথাও নাই। এমনকি পৃথিবীতেও এটা খুবই বিরল বলা চলে। এত বড় একটা গণহত্যা, মানবতাবিরোধী অপরাধ। সেই অপরাধের বিচার যেখানে হবে, সেই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, সেটা আমরা আজকে পরিদর্শন করেছি।’
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খানও এ সময় উপস্থিত ছিলেন। তাঁর সক্রিয় পদক্ষেপের কারণে অতি দ্রুত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ভবনের সংস্কার ও মেরামতকাজ সম্পন্ন করা হচ্ছে বলে জানান আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, ‘১ নভেম্বরের মধ্যে এই ট্রাইব্যুনাল (ভবনে) ঐতিহাসিক বিচারকাজ শুরু হওয়ার কথা। আমরা এই বিচার করতে বদ্ধপরিকর। আমরা বাংলাদেশের মানুষের কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। অবশ্যই এই বিচার আমাদের এখানে হবে এবং এটা খুব দ্রুত শুরু হবে।’
এ সময় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, ‘বিচারকেরা ইতিমধ্যে দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন। বিচারিক পদ্ধতিতে তাঁদের যে ফেলিসিটেশন (সংবর্ধনা) করতে হয়, আগামীকাল আমরা সেটা করব। আগামীকাল কোনো বিচারিক কার্যক্রম হবে না। আগামী বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ট্রাইব্যুনালের নিয়মিত কার্যক্রম শুরু হবে।’