বজ্রপাত
বজ্রপাত

রাঙামাটি ও কক্সবাজারে বজ্রপাতে ৫ জনের মৃত্যু

রাঙামাটির তিন উপজেলায় ও কক্সবাজারের পেকুয়ায় পৃথক বজ্রপাতের ঘটনায় পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে রাঙামাটি সদরের স্বর্ণটিলায় একজন, বাঘাইছড়ি উপজেলার রুপকারী ইউনিয়নে একজন ও সাজেকে একজন মারা গেছেন। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে ঝোড়ো হাওয়া ও বৃষ্টির সময় বজ্রপাতের এই ঘটনা ঘটে। পেকুয়ায় নিহত দুজনই লবণ শ্রমিক বলে জানা গেছে।

আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঝোড়ো হাওয়া ও বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত শুরু হয়। এ সময় রাঙামাটি শহরের তবলছড়ির স্বর্ণটিলা সিলেটি পাড়ার মো. নজির (৫০) নামের এক ব্যক্তি মারা যান।

একই সময়ে বাঘাইছড়ি উপজেলার রুপকারী ইউনিয়নের বড়াদম গ্রামে মুসলিম ব্লকের মো. বাহাজান বেগম (৫৫) বজ্রপাতে নিহত হন। ওই গ্রামে বজ্রপাতে আরও ৭ জন আহত হন। এ ছাড়া সাজেক ইউনিয়নে লংতিয়ান পাড়ায় টনিবালা ত্রিপুরা (৩৭) নামের এক নারীও একই সময়ে বজ্রপাতে মারা যান।

বাঘাইছড়ি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইশতেয়াক বজ্রপাতে হতাহতের খবর নিশ্চিত করেছেন।

কক্সবাজারের পেকুয়ায় আজ বৃহস্পতিবার ভোর চারটার দিকে উপজেলার মগনামা ও রাজাখালী ইউনিয়নে বজ্রপাতে দুই লবণ শ্রমিকের মৃত্যু হয়। পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সাইফুল ইসলাম বজ্রপাতে দুজন নিহতের খবর নিশ্চিত করেছেন।

নিহতেরা হলেন— রাজাখালী ইউনিয়নের ছড়িপাড়ার জামাল উদ্দিনের ছেলে আরফাতুর রহমান (২০) ও মগনামা ইউনিয়নের কুদাইল্যাদিয়া গ্রামের জমির উদ্দিনের ছেলে দিদারুল ইসলাম (৩৯)। তবে দিদারুল কয়েক বছর ধরে শিলখালী ইউনিয়নের জারুলবনিয়া এলাকায় বসবাস করে আসছিলেন।

স্থানীয় লোকজন বলেন, আজ বৃহস্পতিবার ভোর চারটার দিকে পেকুয়ায় তীব্র বজ্রপাত শুরু হয়। এ সময় মগনামার কুদাইল্যাদিয়া এলাকায় মাঠের লবণ কুড়াতে বের হন দিদারুল ইসলাম। অন্যদিকে রাজাখালী ইউনিয়নের ছড়িপাড়া এলাকায় মাঠের লবণ গর্তে ঢুকিয়ে সংরক্ষণের জন্য পলিথিন মোড়াচ্ছিলেন আরফাতুর রহমান। বজ্রপাতের শিকার হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন তাঁরা দুজন।