বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়ায় নোঙর করে রাখা এমভি আবদুল্লাহর দায়িত্ব নিয়েছেন নতুন ২৩ নাবিক। দস্যুদের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া এমভি আবদুল্লাহর ২৩ নাবিক আজ মঙ্গলবার নতুন নাবিকদের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করে দিয়েছেন। তাঁরা দুপুরে কুতুবদিয়া থেকে এমভি জাহান মণি জাহাজে করে বন্দর জেটির উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। বিকেল চারটার দিকে জাহাজটি বন্দর জেটিতে পৌঁছাতে পারে।
এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটি কেএসআরএম গ্রুপের। এ প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেরুল করিম প্রথম আলোকে এ তথ্য জানিয়েছেন। কেএসআরএম গ্রুপের পাঠানো এক ভিডিওতে দেখা যায়, এমভি আবদুল্লাহ জাহাজের ডেকে জাহাজটির ক্যাপ্টেন আবদুর রশিদকে বিদায় জানান নতুন ক্যাপ্টেন। এরপর নাবিকেরা এমভি জাহান মণি জাহাজে উঠে বন্দরের উদ্দেশে রওনা হন।
নাবিকদের বরণ করে নিতে বন্দর জেটিতে বিকেল চারটায় অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ সোহায়েল। এ সময় নাবিকদের স্বজন ও কেএসআরএম গ্রুপের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
এমভি আবদুল্লাহ বঙ্গোপসাগরের কুতুবদিয়ায় নোঙর করে গতকাল সোমবার সন্ধ্যা ছয়টায়। জাহাজটির ড্রাফট (জাহাজের পানির নিচের অংশের গভীরতার পরিমাপ) বেশি হওয়ায় (সাড়ে ১২ মিটার) তা বন্দর জেটিতে ভেড়ানোর সুযোগ নেই। এ কারণে তীর থেকে নৌযানে করে সাগরে নোঙর করে রাখা এমভি আবদুল্লাহ জাহাজটিতে উঠে নতুন করে ২৩ জন নাবিক যোগ দেন। নতুন নাবিকদের কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করেন জিম্মিদশা থেকে মুক্ত নাবিকেরা।
এর আগে গত ১২ মার্চ ভারত মহাসাগর থেকে এই জাহাজ ছিনতাই করেছিল সোমালিয়ার দস্যুরা। মুক্তিপণ দিয়ে ৩৩ দিনের মাথায় ১৩ এপ্রিল দিবাগত রাতে জাহাজটি মুক্ত হয়। এরপর জাহাজটি প্রথমে আমিরাতের আল-হামরিয়া বন্দরে পৌঁছায়।
সেখানে পণ্য খালাস শেষে আরেকটি বন্দর থেকে চুনাপাথর বোঝাই করে চট্টগ্রামের পথে রওনা হয়েছিল জাহাজটি। এ হিসাবে ১৩ দিনের মাথায় জাহাজটি বাংলাদেশের জলসীমায় এসে পৌঁছাল। আরব আমিরাত থেকে রওনা হওয়ার ১৪ দিন এবং জিম্মিদশা থেকে মুক্ত হওয়ার এক মাসের মাথায় ফিরলেন নাবিকেরা।