বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশনস কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্বে) আসাদুজ্জামান চৌধুরীর সাময়িক বরখাস্তের আদেশ এবার স্থগিত করেছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে চলমান বিভাগীয় মামলার কার্যক্রমও স্থগিত করা হয়েছে। গত রোববার ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করা হয়।
এর আগে গত ২০ নভেম্বর বিটিসিএলের সাবেক এমডির সাময়িক বরখাস্তসংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেন হাইকোর্ট। বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতের এই সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে এক সপ্তাহের মাথায় এবার মন্ত্রণালয় থেকেই আসাদুজ্জামান চৌধুরীর বিরুদ্ধে বরখাস্ত ও বিভাগীয় মামলা স্থগিত করা হলো।
সূত্র বলছে, বিটিসিএলের অধীন বাস্তবায়নাধীন ‘ফাইভ-জির উপযোগীকরণে বিটিসিএলের অপটিক্যাল ফাইবার ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক উন্নয়ন’ শীর্ষক প্রকল্পের একটি প্যাকেজের বিপরীতে ৪৬৩ কোটি টাকার দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল। যন্ত্রপাতি কেনার দরপত্রে অংশ নেয় তিনটি কোম্পানি-জেডটিই করপোরেশন, হুয়াওয়ে টেকনোলজিস লিমিটেড ও নকিয়া সলিউশন।
কারিগরি মূল্যায়ন প্রতিবেদন অনুযায়ী, তিন প্রতিষ্ঠানের কেউ দরপত্রের শর্ত পূরণ করতে পারেনি। তবু তাদের সবাইকে যোগ্য হিসেবে মূল্যায়ন করে সাত সদস্যের কারিগরি কমিটি। কারিগরি মূল্যায়ন অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষ হিসেবে বিটিসিএলের তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসাদুজ্জামান চৌধুরী এমন মূল্যায়ন প্রতিবেদন অনুমোদন করেননি। এতে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয় থেকে বিটিসিএলের এমডিকে বদলি ও পরে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। ‘অসদাচরণের’ জন্য আসাদুজ্জামান চৌধুরীকে সাময়িক বরখাস্ত করে ৭ নভেম্বর প্রজ্ঞাপন জারি করে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ। তখন আদালতের দ্বারস্থ হন আসাদুজ্জামান চৌধুরী।
গত রোববার ২৬ নভেম্বর ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের জারি করা চিঠিতে বলা হয়, মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগ আদেশের মাধ্যমে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের এমডির সাময়িক বরখাস্তের আদেশ এবং বিভাগীয় মামলার অভিযোগনামা ও অভিযোগ বিবরণী কার্যক্রম স্থগিত করেছেন। সে পরিপ্রেক্ষিতে আসাদুজ্জামান চৌধুরীর সাময়িক বরখাস্তের আদেশ এবং বিভাগীয় মামলার কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত করা হলো।