আলিয়ঁস ফ্রঁসেজে ‘বাংলাদেশের চলচ্চিত্র: দেশকাল ও শিল্পরূপ: ১৯৪৭-২০১৭’ বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ঢাকা, ২৬ এপ্রিল
আলিয়ঁস ফ্রঁসেজে ‘বাংলাদেশের চলচ্চিত্র: দেশকাল ও শিল্পরূপ: ১৯৪৭-২০১৭’ বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ঢাকা, ২৬ এপ্রিল

প্রকাশনা অনুষ্ঠানে বক্তারা

বাইরের আগ্রাসন উপেক্ষা করতে চাই নিজস্ব চলচ্চিত্র

দেশে তৈরি চলচ্চিত্রের মাধ্যমে নিজেদের ভালোভাবে জানা যায়, বোঝা যায়। নিজস্ব চলচ্চিত্রে নিজেদের শক্তি ও দুর্বলতা প্রকাশ পায়। এতে বাইরের আগ্রাসনকে উপেক্ষা ও মোকাবিলা করা সম্ভব হয়।

কথাসাহিত্যিক আহমদ বশীরের ‘বাংলাদেশের চলচ্চিত্র: দেশকাল ও শিল্পরূপ: ১৯৪৭-২০১৭’ বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে চলচ্চিত্র সমালোচক ও লেখকেরা এই কথা বলেন। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের অডিটরিয়ামে আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ ও দ্যু প্রকাশন যৌথভাবে এই প্রকাশনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে চলচ্চিত্র সাংবাদিক ও সমালোচক অনুপম হায়াৎ বলেন, বইয়ের লেখক একজন কথাসাহিত্যিক। তিনি বইয়ে শক্তভাবে তাঁর চিন্তাধারার স্বাক্ষর রেখেছেন। সেটা পুরো বইটিতে ফুটে উঠেছে। এটাই তাঁকে আলাদা করেছে।

কবি ও গবেষক কাজল রশীদ বলেন, ‘বইটিতে জাতীয় চলচ্চিত্রের দিকে মূল গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। বিষয়টির গুরুত্ব বোঝানোর জন্য লেখক তাঁর বইয়ে সে বিষয়ে একটি অধ্যায় যুক্ত করেছেন। জাতীয় চলচ্চিত্রের মাধ্যমে আমরা নিজেদের ভালোভাবে জানতে ও বুঝতে পারি। নিজেদের শক্তি ও দুর্বলতা সম্পর্কে জেনে বাইরের আগ্রাসনকে উপেক্ষা ও মোকাবিলা করতে পারব।’

চলচ্চিত্র গবেষক ও আলোকচিত্রশিল্পী মীর শামছুল আলম বলেন, বইয়ে উল্লিখিত সব কটি চলচ্চিত্র লেখক দেখেছেন এবং গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করেছেন। বইটি পড়লে সেটা ভালোভাবেই বোঝা যায়।

চলচ্চিত্র শিক্ষক সাকিরা পারভীন বলেন, বইটি বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের অমসৃণ যাত্রাপথের বস্তুনিষ্ঠ বয়ান। যে বয়ান এক চলচ্চিত্রপ্রেমী কথাসাহিত্যিকের।

অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ‘এবং বই’ সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ। অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য দেন আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ ডি ঢাকার পরিচালক ফ্রঁসোয়া ঘ্রোজঁ ও দ্যু প্রকাশনের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক কানিজ ফাতিমা।