পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের স্ত্রী ও দুই মেয়ের আজ সোমবার দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) হাজির হওয়ার নির্ধারিত তারিখ থাকলেও তাঁরা আসেননি। এ বিষয়ে দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন সাংবাদিকদের বলেন, তাঁরা হাজির না হয়ে লিখিত বক্তব্যে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেছেন।
দুদক কার্যালয়ে আজ দুপুরে খোরশেদা ইয়াসমীন সাংবাদিকদের বলেন, বেনজীর আহমেদের স্ত্রী ও মেয়েরা হাজির হননি। তারিখ বাড়ানোর জন্যও কোনো আবেদন দেননি তাঁরা। তবে লিখিত একটি বক্তব্য দিয়েছেন। যেখানে তাঁদের অবস্থান বর্ণনা করা হয়েছে। এই আবেদন বেনজীর আহমেদের আবেদনের সঙ্গেই দুদক কার্যালয়ে গত বৃহস্পতিবার জমা দেওয়া হয়েছে। এখন দুদক প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করবে।
খোরশেদা ইয়াসমিন বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দুদকের তদন্তকারী দল প্রতিবেদন দেবে। সে প্রতিবেদন পাওয়ার পর কমিশন পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে। অন্যদের ক্ষেত্রে যে আইনি প্রক্রিয়া চলে, এখানেও তা–ই হবে।
বেনজীর ও তাঁর স্ত্রী-সন্তানদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত ২৮ মে তলব করে দুদক। দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে পাঠানো নোটিশে বেনজীর আহমেদকে ৬ জুন এবং তাঁর স্ত্রী ও সন্তানদের ৯ জুন দুদকে হাজির হয়ে বক্তব্য দিতে বলা হয়েছিল।
তবে ৫ জুন বেনজীর আহমেদ আইনজীবীর মাধ্যমে ১৫ দিন বাড়তি সময় চেয়ে আবেদন করেছিলেন। পরে তিনি ২১ জুন দুদকের কাছে লিখিত বক্তব্য পাঠান বেনজীর।
ছাগল-কাণ্ডে আলোচনায় আসা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্য মো. মতিউর রহমান প্রসঙ্গে জানতে চাইলে দুদক সচিব বলেন, মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের যে অভিযোগ উঠেছে, সে বিষয়ে দুদকে তিন সদস্যের একটি দল গঠন করা হয়েছে, যাঁরা ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছেন।
অগ্রগতি প্রসঙ্গে বলেন, মো. মতিউর রহমান, তাঁর স্ত্রী লায়লা কানিজ ও ছেলে আহমদ তৌফিকুর রহমান যেন দেশের বাইরে যেতে না পারেন, সে জন্য দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তাঁদের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। দুদক সচিব আরও বলেন, দুদক স্বাধীন প্রতিষ্ঠান, কোনো দিক থেকে চাপ আসছে না।