ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত

জয়কে অপহরণ-হত্যাচেষ্টার ষড়যন্ত্রের মামলায় জামিন পেলেন বিএনপি নেতা মিজানুর

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টার ষড়যন্ত্রের মামলায় জামিন পেয়েছেন বিএনপি নেতা ও ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ভূঁইয়া।

ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (এসিএমএম) মাহবুবুল হক আজ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন।

আদালতসংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টার ষড়যন্ত্রের মামলায় কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা মিজানুর রহমান ভূঁইয়া আজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি নিয়ে আদালত তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন।

এ মামলায় সাংবাদিক শফিক রেহমান ও ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ভূঁইয়াকে সিএমএম আদালতের দেওয়া সাজা এক বছরের জন্য স্থগিত করে গত ২২ সেপ্টেম্বর প্রজ্ঞাপন জারি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ।

এর আগে একই মামলায় জামিন পান সাংবাদিক শফিক রেহমান ও আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। পরে দুজনই ঢাকার সিএমএম আদালতের দেওয়া সাজার রায় চ্যালেঞ্জ করে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে আপিল করেন, যা বিচারাধীন।

গত বছরের ১৭ আগস্ট এই মামলায় শফিক রেহমানসহ পাঁচজনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। অপর চারজন হলেন মাহমুদুর রহমান, জাতীয়তাবাদী সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) সহসভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুন, তাঁর ছেলে রিজভী আহাম্মেদ ওরফে সিজার এবং যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ভূঁইয়া। রায় ঘোষণার সময় শফিক রেহমানসহ পাঁচজন আদালতে হাজির ছিলেন না। তখন আদালত তাঁদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন।

সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টার ষড়যন্ত্রের অভিযোগ এনে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট রাজধানীর পল্টন থানায় মামলা করে। মামলায় ২০১৮ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ।