‘প্রেস’ লেখা জ্যাকেট পরে বাসে আগুন দেন যুবদল নেতা: ডিবি

পুলিশ বলছে, ‘প্রেস’ লেখা জ্যাকেট পরা ওই যুবকের নেতৃত্বে কাকরাইলে বাসে আগুন দেওয়া হয়েছে। ওই যুবককে যুবদলের ঢাকা দক্ষিণের সদস্যসচিব রবিউল ইসলাম (নয়ন) বলে শনাক্ত করেছেন তাঁরা
ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়া  

বিএনপির ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ পণ্ড হওয়ার পরপর কাকরাইলে বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনায় যুবদলের এক নেতা জড়িত ছিলেন বলে দাবি করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। ডিবি বলছে, সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়া ওই ঘটনার ভিডিও বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, যুবদলের ঢাকা দক্ষিণের সদস্যসচিব রবিউল ইসলামের (নয়ন) নেতৃত্বে বাসটিতে পেট্রল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের একপর্যায়ে গত শনিবার নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়। এর ঘণ্টা দেড়েক পর ওই সমাবেশস্থলের কাছে কাকরাইলে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের সামনে একটি বাসে আগুন দেওয়া হয়। এর ১৫ মিনিট আগে পুলিশের একটি দল ওই বাসে করে সেখানে এসেছিলেন। বাসটিতে যেখানে আগুন দেওয়া হয়, তার পাশেই পুলিশের অবস্থান ছিল।

বাসটি দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকার সময় পাশে রাস্তায় বসে কাঁদছিলেন চালক মনির হোসেন। সংবাদমাধ্যমের খবরে এসেছে, ওই সময় মনির হোসেন অভিযোগ করেছিলেন, ‘ডিবি’ লেখা জ্যাকেট পরা দুজন ব্যক্তি এসে বাসে পেট্রল ঢেলে আগুন দিয়েছে। পরে তাঁরা মোটরসাইকেল চড়ে কাকরাইল মোড় দিয়ে পালিয়ে গেছেন।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন-অর-রশীদ আজ সোমবার রাজধানীর মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে এ ঘটনা নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন, ওই এলাকার ২৮ অক্টোবরের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে যুবদল নেতা রবিউল ইসলামকে শনাক্ত করা হয়েছে। তিনি ২০১৩-১৪ সালে সহিংসতার সঙ্গেও জড়িত ছিলেন। সে সময় বাসে আগুন দেওয়ার একাধিক ঘটনায় তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।

ডিবি কর্মকর্তা হারুন বলেন, বেশ কিছু ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। সেগুলোতে দেখা যাচ্ছে রবিউলের নেতৃত্বে বাসে আগুন দেওয়া হচ্ছে। যুবদল নেতা রবিউলকে গ্রেপ্তারে ইতিমধ্যে অভিযান শুরু হয়েছে জানিয়ে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, তাঁকে গ্রেপ্তার করতে পারলে তাঁর সঙ্গে কারা ছিলেন, তাঁদের পরিচয়ও নিশ্চিত হওয়া যাবে।