পাইলট প্রকল্পের আওতায় দেশে শিগগিরই ইন্টারনেট সেবা দেওয়া শুরু করবে মার্কিন প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ইলন মাস্কের মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান স্টারলিংক। বুধবার স্টারলিংকের দুই প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠক শেষে এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ।
বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আইসিটি ভবনে প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন স্টারলিংকের গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স ম্যানেজার জোয়েল মেডিরিথ ও গ্লোবাল লাইসেন্সিং অ্যান্ড অ্যাকটিভেশন ম্যানেজার পার্নিল উর্ধারশি। আইসিটি বিভাগের বিভিন্ন সংস্থা ও প্রকল্পপ্রধানেরাও বৈঠকে ছিলেন।
বৈঠক প্রসঙ্গে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ বলেন, ‘দুর্গম অঞ্চলে ও দুর্যোগকবলিত জনগোষ্ঠীকে উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা দিতে স্টারলিংকের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। আশা করছি, দ্রুতই পাইলট কার্যক্রম শুরু হবে।’
দুই বছর ধরে বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরুর আগ্রহ দেখিয়ে আসছে ইলন মাস্কের মহাকাশবিষয়ক সংস্থা স্পেসএক্সের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান স্টারলিংক। প্রচলিত ইন্টারনেট সেবা মুঠোফোন টাওয়ার ও সাবমেরিন কেব্লনির্ভর হলেও স্টারলিংক কৃত্রিম উপগ্রহের মাধ্যমে ইন্টারনেট সেবা দেয়। এ কারণে পৃথিবীর দুর্গম অঞ্চলেও দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা দেওয়ার সক্ষমতা রয়েছে স্টারলিংকের।
স্টারলিংক কোন কোন দেশে ইন্টারনেট সেবা দিচ্ছে, তা নিয়ে গত বছরের মে মাসে একটি টুইট করে স্পেসএক্স। টুইটে তাদের ইন্টারনেট পরিষেবার একটি মানচিত্র সংযুক্ত করা হয়। ওই মানচিত্রে যেসব দেশে দ্রুতই স্টারলিংকের ইন্টারনেট সেবা চালু করা হবে, সেসব দেশের নাম ছিল।
ওই মানচিত্রে ২০২৩ সাল থেকে বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরুর আশা প্রকাশ করা হয়েছিল। সে সময় তারা বাংলাদেশ থেকে মাসিক ৯৯ ডলারে ‘প্রি–অর্ডারও’ আহ্বান করে। অবশ্য সেখানে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন সাপেক্ষে তাদের এই সেবা পাওয়া যাবে।
তবে সে সময় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) জানিয়েছিল, স্টারলিংক তাদের সঙ্গে এ বিষয়ে যোগাযোগ করেনি। যদিও বাংলাদেশে ব্যবসার আগ্রহ জানিয়ে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) সঙ্গে ২০২১ ও ২০২২ সালে যোগাযোগ করেছিল স্টারলিংক।