চট্টগ্রামের রাউজানের সাবেক সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া কারাগার থেকে চট্টগ্রামে আনা হয়েছে হেলিকপ্টারে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে তাঁকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি নগরের দামপাড়া পুলিশ লাইনস মাঠে এসে পৌঁছায়। পরে কড়া র্যাব-পুলিশ পাহারায় ফজলে করিমকে সড়কপথে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) আবদুল মান্নান মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে আসা হেলিকপ্টারটি পুলিশ লাইনস মাঠে নামে। সেখান থেকে পুলিশি পাহারায় সাবেক এমপি ফজলে করিমকে কারাগারে পাঠানো হয়।
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ তত্ত্বাবধায়ক মুহাম্মদ মঞ্জুর হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ফজলে করিমকে সতর্ক পাহারায় কারাগারে রাখা হয়েছে।
পুলিশ ও আদালত সূত্র জানায়, ফজলে করিম গ্রেপ্তার হওয়ার পর চট্টগ্রামে হওয়া দুটি মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানোর শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল গতকাল বুধবার। কিন্তু নিরাপত্তাজনিত কারণে তাঁকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে চট্টগ্রামে আনা হয়নি। গতকাল চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে রাউজান থেকে আসা লোকজন অপেক্ষায় ছিল। তাদের অনেকের হাতে ডিম ছিল। আজও আদালতে আনা হবে সেই খবর জড়ো হন কিছু লোকজন। নিরাপত্তাজনিত কারণে শেষ পর্যন্ত ফজলে করিমকে হেলিকপ্টারে করে এনে সরাসরি কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। নগর পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, পরিস্থিতি বুঝে ফজলে করিমকে আদালতে হাজির করা হবে।
১২ সেপ্টেম্বর সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া সীমান্তের আবদুল্লাহপুর এলাকা থেকে ফজলে করিমসহ তিনজনকে আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। ফজলে করিম আখাউড়া সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন বলে বিজিবি জানিয়েছে।
বিজিবি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, আটক বাকি দুজন হলেন আখাউড়ার নূরপুর এলাকার সাবেক মেম্বার মো. হান্নান মোল্লা এবং আখাউড়ার স্থানীয় বাসিন্দা মো. নাঈম চৌধুরী। তাঁদের মধ্যে নাঈম চৌধুরী মানব পাচারকারী চক্রের সদস্য। পরে তিনজনের বিরুদ্ধে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে মামলা হয়। সেই মামলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া কারাগারে ছিলেন ফজলে করিম।
ফজলে করিমের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম নগর ও জেলার বিভিন্ন থানায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিতে শিক্ষার্থী হত্যা, ছাত্রদল নেতা নুরুল আলম হত্যাসহ ১০টি মামলা রয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর তাঁর বিরুদ্ধে এসব মামলা হয়।