ডাক বিভাগের গাড়ির হিসাব দিতে না পারায় বৈঠক চলাকালে এক ঘণ্টার মধ্যে হিসাব চান ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ডাকভবনে ডাক অধিদপ্তর আয়োজিত ‘ডাক বিভাগের ই-কমার্স সেবা সম্প্রসারণ ও চিলার চেম্বার ফাংশনাল করা এবং ক্রস বর্ডার ই-কমার্স–সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায়’ এ ঘটনা ঘটে।
সভায় জানানো হয়, ডাক বিভাগের ৪৬২টি গাড়ির মধ্যে অচল ১৩৫টি। প্রায় ৬৯ কোটি টাকা দামের এসব গাড়ি পড়ে আছে কেন, তা ডাক বিভাগের পরিচালক আবু তালেবের কাছে জানতে চান প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক। কিন্তু ওই কর্মকর্তা সঙ্গে সঙ্গে তা জানাতে না পারায় বিভাগের মহাপরিচালক তরুণ কান্তি সিকদারসহ তাঁকে বৈঠক থেকে বের হয়ে এক ঘণ্টার মধ্যে তা জানাতে বলেন। ডাক বিভাগে কতটি গাড়ি, কতজন চালক ও সহকারী আছেন, সে হিসাবও দিতে বলেন প্রতিমন্ত্রী। পরে সভা চলাকালেই হিসাব-নিকাশ নিয়ে ফেরত আসেন মহাপরিচালকসহ ওই কর্মকর্তা।
প্রতিমন্ত্রী সভায় আরও বলেন, গাড়ি ও জমির সঠিক ব্যবহার করতে না পারায় ডাক বিভাগ বছরে ৭০০ কোটি টাকা লোকসান গুনছে। লোকসান কমাতে প্রয়োজনে গাড়ি ও জমি বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেওয়া হবে।
সভায় জুনাইদ আহ্মেদ ডাক বিভাগের কার্যক্রম নিয়ে ক্ষোভ ঝাড়েন। তিনি বলেন, অদক্ষতা ও অব্যবস্থাপনায় ডাক বিভাগের কোটি কোটি টাকার সার্ভিস ডেলিভারি গাড়ি অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে। স্মার্ট সার্ভিস পয়েন্ট কাজে লাগানো যায়নি। সারা দেশে থাকা ডাক বিভাগের মূল্যবান জমিও ব্যবহার করতে পারেনি ডাক বিভাগ। অব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে ৩০ জুনের মধ্যে ঠিক হয়ে যাওয়ার কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।