গতকাল বৃহস্পতিবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা টানা নবম দিনের মতো ক্যাম্পাসের ভাষা শহীদ রফিক ভবনের সামনে পেনশনের প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে সর্বাত্মক কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন
গতকাল বৃহস্পতিবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা টানা নবম দিনের মতো ক্যাম্পাসের ভাষা শহীদ রফিক ভবনের সামনে পেনশনের প্রত্যয় স্কিম বাতিলের দাবিতে সর্বাত্মক কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন

আন্দোলন শিক্ষাব্যবস্থাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে, সমস্যা সমাধানে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চান জগন্নাথের শিক্ষকেরা

শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলন শিক্ষাব্যবস্থাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে বলে মনে করছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা। তাই সমস্যা সমাধানে তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

বর্তমানে একদিকে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা নতুন পেনশন কর্মসূচি ‘প্রত্যয়’ প্রত্যাহার করে স্বতন্ত্র বেতন স্কেলের দাবিতে সর্বাত্মক কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। অন্যদিকে শিক্ষার্থীরা কোটাপদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে, যা ‘বাংলা ব্লকেড’ নামে পরিচিত।

এমন পরিস্থিতিতে শিক্ষকেরা বলছেন, এভাবে চলতে থাকলে সেশনজটসহ অন্যান্য সমস্যায় পড়তে হবে। এই ধরনের সমস্যায় যেন পড়তে না হয়, সে জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোকে আলোচনার মাধ্যমে দ্রুত সমাধানের উদ্যোগ নিতে হবে।

‘প্রত্যয়’ প্রত্যাহার করে স্বতন্ত্র বেতন স্কেলের দাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রেখে ও দাপ্তরিক দায়িত্ব পালন না করে সর্বাত্মক কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন ৩৯টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা।

গতকাল বৃহস্পতিবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা টানা নবম দিনের মতো ক্যাম্পাসের ভাষা শহীদ রফিক ভবনের সামনে কর্মসূচি পালন করেন। অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক রাইসুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আন্দোলনের কারণে ক্লাস-পরীক্ষা ও অন্যান্য একাডেমিক কার্যক্রম বিঘ্নিত হচ্ছে, যা শিক্ষার্থীদের নিয়মিত শিক্ষার প্রবাহকে বাধাগ্রস্ত করছে। এই অবস্থায় পরীক্ষার সময়সূচি পরিবর্তিত হতে পারে বা বাতিল হতে পারে। ফলে সেশনজটের শঙ্কা বেড়ে যাচ্ছে।’

রাইসুল ইসলাম বলেন, ‘আন্দোলনের কারণে প্রশাসনিক কার্যক্রমও ব্যাহত হচ্ছে, নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালনায়ও সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। এতে শিক্ষার্থীদের ওপর মানসিক চাপ বাড়তে পারে, কারণ তারা একাডেমিক ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকে।’

এই শিক্ষকের আশঙ্কা, আন্দোলন কর্মসূচিগুলো দীর্ঘস্থায়ী হলে একাডেমিক কার্যক্রম পুনরায় স্বাভাবিক হতে দেরি হবে। তাই সমস্যা সমাধানে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।