আলতাফ হোসেন চৌধুরী
আলতাফ হোসেন চৌধুরী

তিন মামলায় বিএনপি নেতা আলতাফ হোসেনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে জামিন আবেদন নিষ্পত্তির নির্দেশ

বিএনপির গত ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ ঘিরে রাজধানীর দুটি থানায় করা তিন মামলায় দলের কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরীকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে জামিন আবেদন আইনানুযায়ী নিষ্পত্তি করতে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে (সিএমএম) নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার রুলসহ এ আদেশ দেন।

রাজধানীর রমনা ও পল্টন মডেল থানায় করা পৃথক তিনটি মামলায় আলতাফ হোসেনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আইনানুযায়ী তাঁর জামিন আবেদন নিষ্পত্তির নির্দেশনা চেয়ে ২৮ জানুয়ারি রিটটি করেন তাঁর স্ত্রী সুরাইয়া আক্তার চৌধুরী। মামলাগুলো ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে বিচারাধীন বলে জানিয়েছেন রিট আবেদনকারীর আইনজীবী।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন, আইনজীবী সগীর হোসেন লিওন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আযাদ।

গত ৫ নভেম্বর গাজীপুরের টঙ্গী এলাকা থেকে আলতাফ হোসেন চৌধুরীকে আটক করে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশের দিন প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা, নাশকতা ও সহিংসতার ঘটনায় রমনা থানার এক মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। তিনি এখন কারাগারে।

আলতাফ হোসেন চৌধুরীর আইনজীবী সগীর হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, রমনা থানার এক মামলায় ৫ নভেম্বর আলতাফ হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে আরও তিনটি মামলা রয়েছে, যার মধ্যে দুটি রমনা থানায় ও একটি পল্টন থানায়। এ তিনটি মামলায় তাঁর নাম থাকলেও তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়নি। তিন মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য ২১ জানুয়ারি আবেদন করা হয়, যা নিম্ন আদালত নিষ্পত্তি করেননি। এ অবস্থায় তিনটি মামলায় আলতাফ হোসেনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে জামিন আবেদন নিষ্পত্তির নির্দেশনা চেয়ে রিটটি করা হয়। হাইকোর্ট তিন মামলায় আলতাফ হোসেনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁর জামিন আবেদন আইন অনুসারে ১৫ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে সিএমএম আদালতকে নির্দেশ দিয়েছেন।