গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খান বলেছেন, জাতীয় পার্টির লোকজন শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। তাঁরা জাতীয় পার্টি না, তাঁরা আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ জাতীয় পার্টি বেশে ফিরে এসে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে শ্রদ্ধা জানিয়েছে।
শনিবার শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে গণ অধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে মিরপুরের বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এ কথাগুলো বলেন রাশেদ খান। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, ‘ইতোমধ্যে জি এম কাদের বলেছে, “আমাদের সমাবেশে যদি আওয়ামী লীগের কর্মীরা আসে, আমাদের করার কিছু নাই। উন্মুক্ত সমাবেশে তারা আসতেই পারে।” তিনি এ–ও বলেছেন, আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি ছাড়া সুষ্ঠু হবে না। তার মানে কী? জি এম কাদের আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের দায়িত্ব নিয়েছে। আজকে শ্রদ্ধা নিবেদনের নামে তারা ফিরে আসার মিশন শুরু করেছে। এখানে কেন পর্যাপ্ত পুলিশ নাই? কীভাবে জাতীয় পার্টি ঢুকল? সারা দেশে তো জাতীয় পার্টির ১০০ জনও সক্রিয় কর্মী নাই। এর আগে তারা লোক ভাড়া করে সমাবেশ করেছে। অথচ আজকে ৫০০-৬০০ লোক নিয়ে এসেছে। এগুলো কেউ জাতীয় পার্টি না, এরা আওয়ামী লীগ। এদের গ্রেপ্তার না করে, কেন ঢুকতে দেওয়া হলো? আমাদের স্পষ্ট কথা, আগামী ১৬ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগ ও জাপা স্মৃতিসৌধে যেতে পারবে না।’
ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে গণহত্যার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছেন রাশেদ খান। তিনি বলেন, ‘সরকারকে বলব, দ্রুত শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে আনুন। গণহত্যার বিচার করুন। শেখ হাসিনাকে ভারতে রেখে, আওয়ামী হাইকমান্ডকে গ্রেপ্তার না করে কিসের বিচার করবেন? বিচারের নামে চুনোপুঁটির বিচার মানা হবে না। আগে রাঘববোয়াল ধরুন। এমপিদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করুন। ১৪, ১৮ ও ২৪ সালের নির্বাচন অবৈধ ঘোষণা করুন।’
শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় উপস্থিত ছিলেন গণ অধিকার পরিষদের সহসভাপতি জাফর মাহমুদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিলু খান, পরিবেশ ও জলবায়ুবিষয়ক সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম, সহস্বাস্থ্য সম্পাদক রবিউল ইসলাম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহিম, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা, সম্পাদক নাজমুল হাসান, সিনিয়র সহসভাপতি নাহিদ উদ্দিন, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নেওয়াজ খান, যুব অধিকার পরিষদের অর্থ সম্পাদক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান, সহসভাপতি রাহুল ইসলাম, সহসাংগঠনিক সম্পাদক সকাল আহমেদ, সদস্য মো. স্বপন খান, ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি মামুন হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মিঠু প্রমুখ।