জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন জাতীয় কমিটি মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে কমিটির প্রতিবেদন পেশ করেছে।
কমিটির প্রধান সমন্বয়ক কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে ২৩৪ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনটি প্রধানমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। যথাযথ মর্যাদায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপনের লক্ষ্যে সরকার ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি জাতীয় কমিটি এবং জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি নামে দুটি কমিটি গঠন করে।
২০২০ সালের ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী এবং ‘মুজিব বর্ষ’ শুরু হয়। এ উপলক্ষে জাতীয় উদ্যাপন কমিটির উদ্যোগে জমকালো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। করোনা মহামারির কারণে অনেক অনুষ্ঠান ডিজিটাল চ্যানেলগুলোর মাধ্যমে পরিচালিত হয়। এই উদ্যাপন অনুষ্ঠানে মানুষের সার্বিক অংশগ্রহণ ছিল স্বতঃস্ফূর্ত। বিশ্বের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানেরা শুভেচ্ছা বার্তা পাঠান। এতে আয়োজনটি একটি বৈশ্বিক অনুষ্ঠানে পরিণত হয়।
নতুন প্রজন্মসহ দেশবাসীকে অনুপ্রাণিত করতে ওই সময় বঙ্গবন্ধুর ওপর ডিজিটাল ভিডিও ও ছবিসংবলিত প্রামাণ্যচিত্র বানানো হয়। এর পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে বিশ্বমানের স্মারকগ্রন্থ, সংকলনগ্রন্থ, স্যুভেনির প্রকাশ করা হয়। এ ছাড়া ‘মুক্তির মহানায়ক’ শীর্ষক উদ্বোধনী অনুষ্ঠান এবং ‘মুজিব চিরন্তন’ নামের ১০ দিনব্যাপী একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
দুই দিনব্যাপী ‘মহাবিজয়ের মহানায়ক’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠান এবং ‘টুঙ্গিপাড়া: হৃদয়ে পিতৃভূমি’ শীর্ষক সমাপনী অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়। গত ৩১ মার্চ আনুষ্ঠানিকভাবে সমাপ্ত হয় মুজিব বর্ষ। মঙ্গলবার জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির মিডিয়া সেন্টারের প্রতিবেদনও প্রধানমন্ত্রীর কাছে পেশ করা হয়।