বান্দরবান, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ পরিচালনার জন্য এসব প্রতিষ্ঠানের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তাদের প্রশাসনিক ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে তাঁরা প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। গত বুধবার পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব কাজী মোহাম্মদ চাহেল তস্তুরীর স্বাক্ষরিত আদেশে এই সিদ্ধান্তের বিষয়টি জানানো হয়। তবে মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তাদের আর্থিক ক্ষমতা দেওয়া হয়নি।
আদেশে বলা হয়েছে, জেলা পরিষদে হস্তান্তরিত সরকারের ২৮টি বিভাগের প্রশাসনিক কাজ পরিষদের মাধ্যমে পরিচালিত হয়ে থাকে। কিন্তু গত ৫ আগস্ট থেকে পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যরা অনুপস্থিত রয়েছেন। তাঁদের সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করতে না পারায় জেলা পরিষদের পাশাপাশি হস্তান্তরিত বিভাগের প্রশাসনিক কাজ সঠিকভাবে করা সম্ভব হচ্ছে না। এই অবস্থায় জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে প্রশাসনিক কাজ পরিচালনার জন্য মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তাকে প্রশাসনিক ক্ষমতা অর্পণ করা হলো।
বান্দরবান জেলা পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ বলেন, প্রশাসনিক ক্ষমতা দেওয়া হলেও আর্থিক লেনদেনের কোনো ক্ষমতা দেওয়া হয়নি। এর ফলে আর্থিক কাজ ছাড়া শুধু প্রশাসনিক কাজ সম্ভব হবে। যেমন ন্যস্ত বিভাগের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী বদলি হলে গ্রহণ ও অবমুক্তকরণ করা যাবে। তবে পরিষদের চেয়ারম্যান ছাড়া আর্থিক ক্ষমতা কারও না থাকায় আপাতত শুধু প্রতিবেদন দেওয়া ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আদেশ-নির্দেশ প্রতিপালন ছাড়া তেমন কাজ নেই।
পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এ কে এম শামিউল হক ছিদ্দিকী বলেন, তিন পার্বত্য জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কাজ চালানোর জন্য মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তাদের একটি অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ দেওয়া হয়েছে। জেলা পরিষদের পুনর্গঠনের কাজ প্রক্রিয়াধীন। প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত তাঁরা এই দায়িত্ব পালন করবেন।