চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষের জেরে এক ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করা হয়। আজ শনিবার উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়নের বাথুয়া গ্রামের নেয়ামত আলী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
বেলা তিনটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত অবরোধ করে রাখা হয় উত্তর চট্টগ্রাম ও পার্বত্য জেলায় যাতায়াতের ব্যস্ততম চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কটি। এ সময় দুই পাশের গাড়ি আটকা পড়ে দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা।
স্থানীয় সূত্র জানায়, আধিপত্য বিস্তার থেকে শুরু করে নানা বিষয় নিয়ে নেয়ামত আলী এলাকায় বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছে কয়েক দিন ধরে। এতে এক পক্ষে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এস এম ফজলুল হকের অনুসারী পরিচয় দেওয়া সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মুহাম্মদ হারুনুর রশিদ ও আরেক পক্ষে বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক মীর হেলালের অনুসারী হিসেবে পরিচিত উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব আকবর আলী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বেলা আড়াইটার দিকে হারুনুর রশিদের পক্ষের কর্মী মুহাম্মদ ইরফান (৪০) নামের এক ব্যক্তিকে মারধর করে পুলিশে দিতে চায় আকবর আলীর পক্ষ। ইরফানের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ। খবর পয়ে হারুনুর রশিদের লোকজন এলে সংঘর্ষ বাঁধে। প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে চলে সংঘর্ষ। এরপর পুলিশ আহত ইরফানকে গ্রেপ্তার না করে হাসপাতালে পাঠালে সড়ক অবরোধ করে অপর পক্ষ। প্রায় এক ঘণ্টা পর পুলিশ এসে গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেন অবরোধকারীরা।
জানতে চাইলে হারুনুর রশিদ প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর কর্মী ইরফানকে মারধর করতে গেলে সংঘর্ষ বাধে। অপর পক্ষ তাঁদের দমনের চেষ্টার অংশ এটি।
আলী আকবর প্রথম আলাকে বলেন, স্থানীয় লোকজন ইরফানসহ আরও কয়েকজনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশ করেন। তাঁদের গ্রেপ্তারের দাবি জানালেও পুলিশে ধরছে না। এ কারণে সড়ক অবরোধ করেন গ্রামবাসী।
জানতে চাইলে মদুনাঘাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক মুহাম্মদ আশরাফ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, বিএনপির দুই দ্বন্দ্বের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। একটি পক্ষ চাচ্ছিল অপর পক্ষের কয়েকজনকে পুলিশে দিতে। কিন্তু একজনকে মেরে রক্তাক্ত করা হলে তাঁকে তো আগে চিকিৎসা দিতে হবে। পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার কীভাবে করবে। তিনি বলেন, অবরোধকারীদের আশ্বস্ত করার পর গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক হয়।