জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় তিন বছরের দণ্ডিত রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত চেয়ে দুদকের করা আবেদনটি আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে ১৬ অক্টোবর শুনানি হবে। আজ সোমবার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ তারিখ ধার্য করেন।
ওই মামলায় গত ২১ আগস্ট রায় দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭-এর বিচারক। রায়ে সাহেদকে তিন বছরের কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। দণ্ডাদেশের এ রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করে জামিন চান সাহেদ। শুনানি নিয়ে গত ৪ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে জরিমানা স্থগিত করেন। এরপর জামিন আবেদনের শুনানি নিয়ে ১৪ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট সাহেদকে ছয় মাসের জামিন দেন। এ জামিন স্থগিত চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আপিল বিভাগে আবেদন করে, যা আজ আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে শুনানির জন্য ওঠে।
আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। সাহেদের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক ও আইনজীবী সৈয়দ মো. জাহাঙ্গীর হোসেন।
পরে আইনজীবী সৈয়দ মো. জাহাঙ্গীর হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘হাইকোর্ট সাহেদকে যে জামিন দিয়েছেন, তা স্থগিত করেননি চেম্বার আদালত। ফলে জামিন বহাল রয়েছে। তবে দুদকের করা আবেদনটি আপিল বিভাগে শুনানির জন্য ১৬ অক্টোবর নির্ধারণ করা হয়েছে। ওই মামলায় জামিন বহাল থাকলেও অস্ত্র আইনের মামলায় জামিন না থাকায় তিনি কারামুক্তি পাচ্ছেন না।’
মামলার কাগজপত্রের তথ্য বলছে, ২০২০ সালের ৫ নভেম্বর দুদক এক নোটিশে সাহেদকে ২১ কার্যদিবসের মধ্যে তাঁর সম্পদের হিসাব জমা দিতে বলে। কিন্তু সাহেদ নির্ধারিত সময়ে তাঁর সম্পদের বিবরণী জমা দেননি। পরবর্তী সময়ে সাহেদকে আরও ১৫ কার্যদিবস সময় দেওয়া হয়। এরপরও তিনি তাঁর সম্পদের বিবরণী জমা দেননি। এমন প্রেক্ষাপটে অনুসন্ধানের পর সাহেদের বিরুদ্ধে ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি মামলা করে দুদক।
রিজেন্ট হাসপাতালে করোনার নমুনা পরীক্ষায় জালিয়াতির মামলায় ২০২০ সালের ১৫ জুলাই সাহেদকে অবৈধ অস্ত্রসহ সাতক্ষীরার সীমান্ত এলাকা থেকে গ্রেপ্তারের কথা জানায় র্যাব। এরপর তার নামে প্রতারণা ও নানা অনিয়মের অভিযোগে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে তাঁর বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা হয়। এর মধ্যে অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনে করা এক মামলায় ২০২০ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর সাহেদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়।