ধর্ষণের শিকার ভুক্তভোগী এক নারীকে বিয়ে করেছেন তৌহিদুল ইসলাম নামের এক আসামি। এর মধ্য দিয়ে ওই নারীর দুই বছর বয়সী সন্তান পিতার স্বীকৃতি পেয়েছে। ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭–এ লিখিতভাবে তাঁর আইনজীবী এমন তথ্য জানিয়েছেন। প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ট্রাইব্যুনালের সহকারী কৌঁসুলি (এপিপি) লিয়াকত আলী।
বাদীপক্ষের আইনজীবী ফারুক আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর মক্কেল তৌহিদুলের বাসায় গৃহকর্মীর কাজ করতেন। তৌহিদুল ওই নারীকে ধর্ষণ করলে তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন তিনি। এ ঘটনায় ২০২০ সালের ৮ মে বাড্ডা থানায় তৌহিদুলের বিরুদ্ধে মামলা করেন ভুক্তভোগী ওই নারী। পরে ওই নারীর সন্তান তেজগাঁও ভিক্টিম সাপোর্ট সেন্টারে জন্মগ্রহণ করে।
মামলা চলাকালে আদালত ফরেনসিক প্রতিবেদন জমা দিতে বলেন পুলিশকে। প্রতিবেদনে উঠে আসে, তৌহিদুল ওই নারীর সন্তানের জৈবিক পিতা। পরে ওই নারীকে বিয়ে করে সন্তানকে স্বীকৃতি দিয়েছেন তৌহিদুল। বিয়ের কাবিন ধরা হয়েছে পাঁচ লাখ টাকা।
এপিপি লিয়াকত আলী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে তৌহিদুল কারাগারে ছিলেন। বিয়ের পর আদালত তাঁর জামিন মঞ্জুর করেছেন।