বাংলাদেশ থেকে ট্রেনে ভারত যাতায়াতের ব্যয় আবারও বাড়ছে। ঢাকা-কলকাতা, খুলনা–কলকাতা ও ঢাকা-নিউ জলপাইগুড়ির মধ্যে চলাচল করা তিনটি আন্তদেশীয় ট্রেনের ভাড়া বৃদ্ধি করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। আগামী মঙ্গলবার থেকে নতুন ভাড়া কার্যকর হবে।
বাংলাদেশ রেলওয়ের উপপরিচালক (ইন্টারচেঞ্জ) মিহরাবুর রশিদ খান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ডলারের মূল্যবৃদ্ধি ও বর্ধিত ভ্রমণ করের সঙ্গে সংগতি রেখে আন্তদেশীয় মৈত্রী এক্সপ্রেস, বন্ধন এক্সপ্রেস, মিতালী এক্সপ্রেসের নতুন ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে।
ঢাকা-কলকাতার মধ্যে চলাচল করা মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনের এসি সিটের বর্তমান ভাড়া ৪ হাজার ৭৯৫ টাকা। মঙ্গলবার থেকে একটি এসি সিটের জন্য ৪ হাজার ৯০০ টাকা ভাড়া আদায় করবে রেল। একইভাবে ৭০ টাকা বাড়িয়ে এসি চেয়ার আসনের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ হাজার ৬০০ টাকা।
ঢাকা-কলকাতা পথে পরিচালিত সবচেয়ে পুরোনো ট্রেন মৈত্রী এক্সপ্রেস। ২০০৮ সালের পয়লা বৈশাখ এই ট্রেনের যাত্রা শুরু হয়। ট্রেনটি ঢাকা থেকে কলকাতায় যায় শুক্র, শনি, রবি, মঙ্গল ও বুধবার। একই দিনগুলোতে কলকাতা থেকে ঢাকায় আসে ট্রেনটি।
খুলনা-কলকাতার মধ্যে চলাচল করা আরেক ট্রেন বন্ধন এক্সপ্রেসে বর্তমানে এসি সিটে ২ হাজার ৯০০ টাকা ভাড়া আদায় করা হয়, যা ২ হাজার ৯৫০ টাকায় উন্নীত হবে। ৩৫ টাকা বাড়িয়ে এসি চেয়ারে ২ হাজার ৩০০ টাকা ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে।
বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেনটি খুলনা থেকে রোববার ও বৃহস্পতিবার কলকাতায় যায়। একইভাবে কলকাতা থেকে রোববার ও বৃহস্পতিবার খুলনায় আসে।
ঢাকা-নিউ জলপাইগুড়ির মধ্যে চলাচল করা মিতালী এক্সপ্রেস ট্রেনে এসি বার্থ আসনের বর্তমান ভাড়া ৬ হাজার ৫৭০ টাকা, যা বাড়িয়ে ৬ হাজার ৭২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ১১০ টাকা বাড়িয়ে এসি সিটের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ হাজার ২৯০ টাকা। আর ৭৫ টাকা বাড়িয়ে এসি চেয়ারের ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ হাজার ৮৬০ টাকা।
মিতালী এক্সপ্রেস ট্রেনটি সপ্তাহে দুই দিন চলাচল করে। ঢাকা থেকে নিউ জলপাইগুড়ি যায় সোম ও বৃহস্পতিবার। অন্যদিকে নিউ জলপাইগুড়ি থেকে ঢাকায় আসে রোববার ও বুধবার।
রেলওয়ে সূত্র জানিয়েছে, ডলারের মূল্যবৃদ্ধির ফলে ছয় মাস পরপর ভাড়া পুনর্নির্ধারণ করা হয়। তবে সম্প্রতি দ্রুত এবং বেশি পরিমাণে মূল্যবৃদ্ধির কারণে আগেই ভাড়া বৃদ্ধি করতে হচ্ছে।
এর আগে গত ১ জুলাই আন্তদেশীয় ট্রেনের ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়েছিল।