ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন শিল্পাঞ্চল ও বাসাবাড়িতে গ্যাস সরবরাহ না থাকায় উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। তারা বলেছে, সরকারের ভুল নীতি ও জ্বালানি খাতে দুর্নীতি এই সংকট তৈরি করেছে। এসব ভুল নীতি ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে বিচারের দাবি জানিয়েছে বামপন্থী রাজনৈতিক দলটি।
আজ রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই দাবি জানান সিপিবির সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম ও সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন (প্রিন্স)।
বিবৃতিদাতারা বলেন, গ্যাস দেশের নিজস্ব সম্পদ। স্থলভাগে ও সমুদ্রে এই গ্যাস আছে। অথচ নিজস্ব গ্যাস অনুসন্ধান উত্তোলনে কার্যকর ভূমিকা না নিয়ে ব্যবসায়ী ও কমিশনভোগীদের স্বার্থে গ্যাস খাতকে আমদানিনির্ভর খাতে পরিণত করা হয়েছে। বারবার গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে। গ্যাস বিল দেওয়ার সময় সাধারণ জনগণের টাকায় গ্যাস উন্নয়ন তহবিল গঠন করা হয়েছিল। ওই উন্নয়ন তহবিলের টাকা দিয়েও গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনের কাজ করা যেত। কিন্তু গ্যাস উন্নয়ন তহবিলের টাকা গ্যাস আমদানিতে ব্যবহার করা হয়েছে।
জ্বালানি খাতে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতি ঢাকতে ‘দায়মুক্তি আইন’ পর্যন্ত করা হয়েছে—এমন অভিযোগ করে সিপিবির শীর্ষ দুই নেতা বলেছেন, আজকের সংকটের দায় সরকারকে নিতে হবে। ভুল নীতি ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে বিচারের দাবি জানান তাঁরা। একই সঙ্গে জ্বালানি খাতের দায়মুক্তি আইন বাতিল ও গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক করতে ‘দেশপ্রেমিক’ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে টাস্কফোর্স গঠন করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও জানান দুই নেতা।
সংকটের মধ্যেও গ্যাসের মিটারভাড়া বাড়ানো, গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির পাঁয়তারা, বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির পাঁয়তারার খবরের নিন্দা জানিয়ে সিপিবি বলেছে, গ্যাস দিতে না পারলেও দাম বাড়িয়ে জনগণের পকেট কাটা জনগণ কোনোভাবেই সহ্য করবে না। বিদ্যুৎ বিভাগের পক্ষ থেকে লোডশেডিংয়ের সতর্কতা দিয়ে যে কথা বলা হচ্ছে, তাকে বিদ্যুতের গল্প শোনানো ও দেশবাসীর সঙ্গে বিদ্যুৎ নিয়ে মশকরার শামিল ছাড়া কিছু বলা যায় না।