শান্তিতে নোবেল পুরস্কারজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান আসামি করে আরও ১২ জনের নামে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলায় গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের ২৫ কোটি ২২ লাখ ৬ হাজার ৭৮০ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।
ড. ইউনূস গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান। দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার প্রধান বাদী হয়ে ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাটি করেন। পরে এ বিষয়ে সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন দুদকের মহাপরিচালক (প্রশাসন) রেজওয়ানুর রহমান। তিনি সাংবাদিকদের মামলার কথা জানান।
সংবাদ সম্মেলনে দুদকের মহাপরিচালক (প্রশাসন) রেজওয়ানুর রহমান বলেন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের উপমহাপরিদর্শক গ্রামীণ টেলিকম কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগসংবলিত একটি প্রতিবেদন দুদকে পাঠান। এর সূত্র ধরেই গত বছরের ২৮ জুলাই দুদক অভিযোগটি অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়ে তিন সদস্যের কমিটি করে। অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে গত বছরের আগস্টের কয়েক দফায় গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ছয়জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক।
রেজওয়ানুর রহমান জানান, অনুসন্ধান পর্যায়ে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রসঙ্গ ওঠে।
অবশ্য গত বছরের ২৩ নভেম্বর দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল ইসলাম বলেছিলেন, শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিলের অর্থ আত্মসাৎ ও পাচারসংক্রান্ত অপরাধের অভিযোগের সঙ্গে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ব্যক্তিগতভাবে কোনো সম্পৃক্ততা নেই। সব সিদ্ধান্ত হয়েছে বোর্ডে। নিয়ম মেনেই শ্রমিকদের অর্থ ছাড় করা হয়েছে।
মামলায় অন্য আসামিরা হলেন গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাজমুল ইসলাম, সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান, পাঁচ পরিচালক পারভীন মাহমুদ, নাজনীন সুলতানা, মো. শাহজাহান, নূরজাহান বেগম ও এস এম হাজ্জাতুল ইসলাম লতিফী, আইনজীবী মো. ইউসুফ আলী ও জাফরুল হাসান শরীফ, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি মো. কামরুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ হাসান, গ্রামীণ টেলিকম শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের প্রতিনিধি মো. মাইনুল ইসলাম।