পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কাঠামো পুনর্মূল্যায়নে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। আজ বুধবার এ–সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করেছে বিদ্যুৎ বিভাগ।
কমিটির সভাপতি করা হয়েছে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সৈয়দ ফারহাত আনোয়ারকে। অন্য সদস্যরা হলেন এশিয়ান সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্টের এ কে এনামুল হক, বুয়েটের ইইই বিভাগের অধ্যাপক মো. জিয়াউর রহমান খান, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক খালেদ মাহমুদ।
দুই দফা দাবিতে টানা কয়েক মাস ধরে আন্দোলন করছেন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা–কর্মচারীরা। গত সপ্তাহে তাঁদের কয়েকজন চাকরিচ্যুত হয়েছেন, সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন ও গ্রেপ্তার হয়েছেন। এর মধ্যেই এই কমিটি গঠন করা হলো।
এই কমিটি সম্পর্কে বিদ্যুৎ বিভাগের আদেশে বলা হয়, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে গ্রামাঞ্চলে প্রায় শতভাগ বিদ্যুৎ নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ করা হয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে আরইবি ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির (পবিস) ভূমিকা এবং কাঠামো পুনর্মূল্যায়ন করা প্রয়োজন। বিদ্যমান পল্লী বিদ্যুতায়ন কাঠামো পর্যালোচনা জন্য এ কমিটি গঠন করা হলো।
কমিটির কার্যপরিধির মধ্যে বলা হয়েছে, আরইবি ও পবিসের ভিত্তি দলিলসমূহ পর্যালোচনা, সাংগঠনিক কাঠামো পর্যালোচনা, সব স্তরের কর্মীদের প্রতিনিধি এবং সংশ্লিষ্ট যেকোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান বা সমিতির প্রতিনিধিদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ, প্রাসঙ্গিক নথি এবং অন্যান্য তথ্য পর্যালোচনা। এ ভিত্তিতে কমিটি একটি প্রতিযোগিতামূলক, প্রযুক্তিগতভাবে দক্ষ, আর্থিকভাবে টেকসই এবং দক্ষ পরিষেবা প্রদানে সক্ষম গ্রামীণ বিদ্যুতায়ন খাতের জন্য উপযুক্ত কাঠামো সুপারিশ করবে। কমিটির অনুরোধে আরইবি ও পবিস তাদের সব নথি সরবরাহ করবে। কমিটি প্রয়োজনে আরও সদস্য নিতে পারবে।
এর আগে চাকরিচ্যুতি ও আটকের প্রতিবাদে ১৭ অক্টোবর দেশের অন্তত ৩৩টি জেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেন সমিতির কর্মকর্তা–কর্মচারীরা। পরে ওই দিন সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মাহফুজ আলমের আশ্বাসে কর্মসূচি স্থগিত করে বিদ্যুৎ সরবাহ চালু করেন তাঁরা। ওই দিন ২৪ জন কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়। এরপর সমিতির কর্মকর্তাদের নামে একটি রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করে আরইবি। এতে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।