লতিফ সিদ্দিকী
লতিফ সিদ্দিকী

টাঙ্গাইলে জয় পেলেন লতিফ সিদ্দিকী

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৪ (কালিহাতী) আসনে জয়ী হয়েছেন প্রবীণ রাজনীতিক আবদুল লতিফ সিদ্দিকী। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তিনি ৭০ হাজার ৯৪০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকার প্রার্থী মোজাহারুল ইসলাম তালুকদার পেয়েছেন ৫৪ হাজার ৭৫ ভোট।

লতিফ সিদ্দিকীর ভাই কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী (বীর উত্তম) টাঙ্গাইল-৮ (সখীপুর-বাসাইল) আসনে পরাজিত হয়েছেন। তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী অনুপম শাহজাহানের সঙ্গে। অনুপম শাহজাহান ৯৬ হাজার ৪০১ ভোট পেয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী কাদের সিদ্দিকী গামছা প্রতীকে পেয়েছেন ৬৭ হাজার ৫০১ ভোট।

লতিফ সিদ্দিকী ও কাদের সিদ্দিকীর অপর ভাই মুরাদ সিদ্দিকী টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে পরাজিত হয়েছেন। এ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ছানোয়ার হোসেন ৭২ হাজার ২৭৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাঁর নিকটতম নৌকার প্রার্থী মামুন অর রশিদ পেয়েছেন ৬৫ হাজার ৮৬৭ ভোট।

আবদুল লতিফ সিদ্দিকী টাঙ্গাইল-৪ আসনে এবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন। তিনি ট্রাক প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।

লতিফ সিদ্দিকী এই আসন থেকে এর আগে পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তাঁর স্ত্রী লায়লা সিদ্দিকী ১৯৮৬ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।

লতিফ সিদ্দিকী এর আগে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। ২০১৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রে একটি সভায় হজ ও তাবলিগ জামাত সম্পর্কে নেতিবাচক মন্তব্য করায় তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার এবং মন্ত্রিসভা থেকে অপসারণ করা হয়। গত সেপ্টেম্বরে তিনি কালিহাতীতে গণসংযোগ শুরু করেন।

টাঙ্গাইল-৮ আসনে বিজয়ী অনুপম শাহজাহান সাবেক সংসদ সদস্য শওকত মোমেন শাহজাহানের ছেলে। ২০১৪ সালে শওকত মোমেন শাহজাহানের মৃত্যুর পর অনুপম উপনির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। কাদের সিদ্দিকী এ আসন থেকে ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য হয়েছিলেন।

মুরাদ সিদ্দিকী এর আগে ২০০১ সালে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের প্রার্থী হিসেবে প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেন। পরে ২০০৮ সালের নির্বাচনেও তিনি ওই দল থেকে প্রার্থী হন। এরপর কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের রাজনীতি ছেড়ে দেন। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। আওয়ামী লীগের পদপদবি না থাকলেও তিনি আওয়ামী রাজনীতির সংস্পর্শে ছিলেন। এবার সংসদ নির্বাচনে টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন। মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন।