নতুন পাঠ্যবইয়ের ভুলভ্রান্তি পরের মুদ্রণে ঠিক করতে বলব: শিক্ষা উপমন্ত্রী

শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী
ছবি: সংগৃহীত

নতুন পাঠ্যবইয়ের যেসব ভুলভ্রান্তি আছে তা পরবর্তী মুদ্রণে ঠিক করতে বলা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী। একই সঙ্গে তিনি বলেছেন, নতুন শিক্ষাক্রমের বইয়ে কোনো ভুল নেই। সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম নগরের লালদীঘি মাঠ সংস্কার শেষে উন্মুক্ত করে দেওয়ার অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

নানা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে এবার পাঠ্যবই ছাপানো হয়েছে বলে জানান শিক্ষা উপমন্ত্রী। এসব প্রতিকূলতার কারণ হিসেবে তিনি জানান, কাগজের মণ্ডের দাম বেড়ে যাওয়া এবং বিদ্যুৎ সংকটের কারণে মুদ্রণের ঘাটতি।

এ বিষয়ে মহিবুল হাসান বলেন, ‘এটা অনস্বীকার্য যে এখানে কিছু কিছু জায়গায়, কিছু কিছু চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি হয়েছে। তবে আমরা আশ্বস্ত করতে চাচ্ছি, বই যথাসময়ে সরবরাহ হবে। মানের প্রশ্নে যেগুলো কনটেন্টগুলোতে ভুল ছিল, পরবর্তী যে প্রিন্টিং হবে যে ভুলগুলো ছিল তা নিরসন করতে বলব।’

এ সময় সাংবাদিকদের শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা জানেন, আমরা নতুন কারিকুলাম (শিক্ষাক্রম) এনেছি। নতুন কারিকুলাম প্রথম ও ষষ্ঠ শ্রেণিতে যাচ্ছে। নতুন কারিকুলামের বইতে কোনো ভুল নেই।’

এদিকে ভর্তি ও পুনঃভর্তিতে বাড়তি টাকা নেওয়া হলে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর এমপিও (মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার) বাতিল করা হবে বলে মন্তব্য করেছেন মহিবুল হাসান। যেসব প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত ফির চেয়ে বাড়তি টাকা নিয়েছে সেগুলোর তালিকা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, ‘নির্ধারিত টাকার চেয়ে বেশি টাকা নেওয়া যাবে না। পুনঃভর্তির নামে ফি নেওয়া যাবে না। যেসব প্রতিষ্ঠান অতিরিক্ত টাকা নিয়েছে বা নিচ্ছে সেগুলোর তালিকা মন্ত্রণালয় থেকে করা হচ্ছে। এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যারা এমপিও পায় তাদের এমপিও বন্ধ করে দেওয়া হবে।’

শিক্ষা উপমন্ত্রী জানান, দেশে মাধ্যমিক পর্যায়ে ৩০ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে। এর মধ্যে ৮০০ সরকারি স্কুল। বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে যারা এমপিও প্রাপ্ত তারা সরকারি সহযোগিতা পায়। এমপিওভুক্ত শিক্ষকেরা এমপিওর টাকা পান। এ ছাড়া অন্য বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা নিয়েই তাদের প্রতিষ্ঠান ও উন্নয়নকাজ পরিচালনা করে। তবে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো নতুন বছরের ভর্তিতে কত টাকা নিতে পারবে তা নির্ধারণ করে দেওয়া আছে।

কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের নতুন বই দেয়নি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে জানিয়ে শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, ফি বাকি থাকায় বই দেওয়া হয়নি। কিন্তু ফির সঙ্গে বইয়ের কোনো সম্পর্ক নেই। বই সরকার দেয়। বই থেকে শিশুদের বঞ্চিত করা, এটা মেনে নেওয়া হবে না। বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের মতো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনার সুযোগ বন্ধ করা হবে।