হাইকোর্ট ভবন
হাইকোর্ট ভবন

অবৈধ গ্যাস–সংযোগ: জড়িতদের তালিকা দাখিলের নির্দেশ

ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, গাজীপুর, মুন্সিগঞ্জ, মানিকগঞ্জ ও চট্টগ্রামে অবৈধ গ্যাস–সংযোগের অভিযোগ তদন্ত করে জড়িত কর্মকর্তা ও ঠিকাদারদের তালিকা তৈরি করে ছয় মাসের মধ্যে হলফনামা আকারে আদালতে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ জন্য জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিবকে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা সমন্বয়ে ছয় সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করতে বলা হয়েছে।

এক দশকের বেশি সময় আগে করা এক রিটের চূড়ান্ত শুনানি নিয়ে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বুধবার কয়েক দফা নির্দেশনাসহ এ রায় দেন।  

‘গ্যাস–সংযোগ বন্ধ করে দুর্নীতির ক্ষেত্র তৈরি’ শিরোনামে ২০১২ সালের ১ সেপ্টেম্বর এবং ‘চট্টগ্রামে নতুন গ্যাস–সংযোগ দেওয়া হয়েছে ৩০ হাজার!’ শিরোনামে একই বছরের ৭ সেপ্টেম্বর প্রথম আলোতে দুটি প্রতিবেদন ছাপা হয়। প্রতিবেদন দুটি যুক্ত করে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চেয়ে ২০১২ সালের ৭ নভেম্বর মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে রিটটি করা হয়। পরের দিন রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন। রুল আংশিক অ্যাবসলিউট (যথাযথ) ঘোষণা করে কয়েক দফা নির্দেশনা দিয়ে আজ রায় দেওয়া হয়।  

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী সঞ্জয় মন্ডল। গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানির পক্ষে আইনজীবী কাজী আক্তার হামিদ ও বাখরাবাদ গ্যাস সিস্টেম লিমিটেডের পক্ষে আইনজীবী নাসির আহমেদ শুনানিতে ছিলেন।

রায়ের পর জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ প্রথম আলোকে বলেন, অবৈধ গ্যাস–সংযোগের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে গ্যাস আইনের ১০, ১২ ও ১৯ ধারা অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ জন্য জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিবকে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি একটি নির্দেশনা জারি করতে বলা হয়েছে। যে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে অবৈধ গ্যাস–সংযোগের অভিযোগ প্রতিবেদনে উল্লেখিত হবে, তাঁদের লাইসেন্স বাতিল করতে তিতাস গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।