যুক্তরাজ্যের ভারত-প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলবিষয়ক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ক্যাথরিন ওয়েস্ট আগামী শনিবার দুই দিনের সফরে ঢাকায় আসছেন। গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর যুক্তরাজ্য সরকারের কোনো জ্যেষ্ঠ প্রতিনিধির এটাই প্রথম বাংলাদেশ সফর।
ঢাকায় দুই দেশের কূটনৈতিক সূত্রগুলো ক্যাথরিন ওয়েস্টের সফরের বিষয়টি আজ মঙ্গলবার দুপুরে প্রথম আলোকে নিশ্চিত করে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, শুভেচ্ছা সফর হলেও ক্যাথরিন ওয়েস্টের ঢাকায় অবস্থানের সময় আলোচ্য সূচিতে ভারত মহাসাগরীয় কৌশল গুরুত্ব পাবে। সামগ্রিকভাবে গণতান্ত্রিক উত্তরণ, রাজনীতি, অর্থনীতি, মৌলিক মানবাধিকারসহ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের মৌলিক বিষয়বস্তু এবং সমসাময়িক বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক বিষয়গুলোও আলোচনায় আসার কথা রয়েছে।
খসড়া সূচি অনুযায়ী, দুই দিনের সফরের সময় ক্যাথরিন ওয়েস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। পাশাপাশি পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। নাগরিক সমাজ ও গণমাধ্যমের সঙ্গেও তিনি মতবিনিময় করতে পারেন।
গত জুলাইয়ে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন ক্যাথরিন ওয়েস্ট। ঢাকার কর্মকর্তাদের মতে, যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির অত্যন্ত প্রভাবশালী নেতা ক্যাথরিনের এ সফর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। বিশেষ করে ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ঢাকায় তাঁর আগমনের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে।
কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, ক্যাথরিন ওয়েস্ট যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র দপ্তরে সরাসরি চীন, উত্তর-পূর্ব এশিয়া, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জের দেশগুলোর সঙ্গে যুক্তরাজ্যের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোর দেখভাল করেন। তা ছাড়া ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক নিরাপত্তা, বিশেষত রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ, অর্থনৈতিক কূটনীতি, প্রযুক্তির বিস্তৃতি ও প্রয়োগের বিষয়গুলো তদারক করে থাকেন। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে এ অঞ্চলে যুক্তরাজ্যের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ইস্যুতে লেবার পার্টি এবং সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণে ক্যাথরিন ওয়েস্টের মূল্যায়নের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে।
যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ সদস্য এবং অস্ট্রেলিয়ার বংশোদ্ভূত যুক্তরাজ্যের রাজনীতিবিদ ক্যাথরিন ওয়েস্ট ২০১৫ সাল থেকে পার্লামেন্টে প্রতিনিধিত্ব করছেন। তিনি ১৯৯৮ সাল থেকে লেবার পার্টিতে সক্রিয়।