নাফ নদী
নাফ নদী

নাফ নদী থেকে পাঁচ জেলেকে অপহরণ, স্বজনদের অভিযোগ আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে

কক্সবাজারের টেকনাফের নাফ নদী থেকে একটি নৌকাসহ পাঁচ জেলেকে অপহরণ করেছে দুর্বৃত্তরা। অপহরণের শিকার কয়েকজন জেলে মুঠোফোনে স্বজনদের জানিয়েছেন, সীমান্ত পার করে তাঁদের মিয়ানমারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। স্বজনেরা বলছেন, মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি (এএ) জেলেদের অপহরণের সঙ্গে জড়িত। গতকাল সোমবার বেলা তিনটার দিকে নাফ নদীর টেকনাফ পৌরসভাসংলগ্ন এলাকা থেকে তাঁরা অপহরণের শিকার হন। জেলেদের ফেরত আনার জন্য মিয়ানমারের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

অপহরণের শিকার বাংলাদেশি জেলেরা হলেন কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার শাহপরীর দ্বীপের জালিয়াপাড়ার আবদুর রহিমের ছেলে মো. আলম (২২); আবদুল মজিদের ছেলে মো. রাসেল মিয়া (২৩) ও মো. সাইফুল মিয়া (১৭); মো. রফিকুল ইসলামের ছেলে মো. বোরহান উদ্দিন (১৯) এবং চকরিয়া উপজেলার মো. খোরশেদ আলমের ছেলে মো. রাশেদ (২৪)।

পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে সাবরাং ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আবদুস সালাম বলেন, গতকাল দুপুরের দিকে পাঁচ জেলে বড়শি নিয়ে নাফ নদীতে মাছ শিকার করতে নামেন। বিকেলের দিকে তাঁদের নাফ নদী থেকে মিয়ানমারের আরাকান আর্মির সদস্যরা ধরে নিয়ে যান। রাতে ওই জেলেরা মুঠোফোনে তাঁদের পরিবারকে বিষয়টি অবহিত করেছেন। জেলেরা জানিয়েছেন, তাঁদের বর্তমানে টেকনাফের বিপরীতে মিয়ানমারের প্রাংপুরু এলাকায় রাখা হয়েছে।

শাহপরীর দ্বীপ জালিয়াপাড়া ক্ষুদ্র মৎস্য সমবায় সমিতির সভাপতি আবদুল গনি বলেন, নাফ নদীতে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এর মধ্যেও কিছু লোক স্থানীয় প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে বড়শি দিয়ে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিলেন। যে জেলেদের আরাকান আর্মি ধরে নিয়ে গেছে, তাঁরাও নাফ নদীতে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন।

টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ঘটনাটি জানার পর বিজিবির পক্ষ থেকে জেলেদের ফেরত আনার বিষয়ে চেষ্টা চলছে।

টানা প্রায় আট মাসের বেশি সময় ধরে রাখাইন রাজ্যে সরকারি বাহিনীর সঙ্গে আরাকান আর্মির সংঘাত চলছে। এরই মধ্যে আরাকান আর্মি বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী মিয়ানমারের মংডু টাউনশিপের বেশির ভাগ এলাকা দখলে নিয়েছে।