শিশুদের ওপর তাপমাত্রা বৃদ্ধির নেতিবাচক প্রভাব বিবেচনায় নিয়ে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত সব প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে
শিশুদের ওপর তাপমাত্রা বৃদ্ধির নেতিবাচক প্রভাব বিবেচনায় নিয়ে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত সব প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে

তাপপ্রবাহে উচ্চ স্বাস্থ্যঝুঁকিতে শিশুরা, ইউনিসেফের উদ্বেগ

বাংলাদেশের শিশুদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার বিষয়ে গভীরভাবে উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা-ইউনিসেফ। সংস্থাটি বলেছে, অস্বাভাবিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি শিশুদের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করে। তাপপ্রবাহের ফলে বিশেষ করে নবজাতক, সদ্যোজাত ও অল্পবয়সী শিশুরা স্বাস্থ্যঝুঁকিতে থাকে। এ সময় হিটস্ট্রোক ও পানিশূন্যতাজনিত ডায়রিয়ার মতো উচ্চ তাপমাত্রার প্রভাবে সৃষ্ট অসুস্থতায় শিশুরা বেশি আক্রান্ত হয়।

ইউনিসেফের বাংলাদেশের প্রতিনিধি শেলডন ইয়েটের পক্ষ থেকে বুধবার বিকেলে দেওয়া বিবৃতিতে সংস্থাটির উদ্বেগের কথা জানানো হয়। সংস্থাটির ২০২১ সালের শিশুদের জন্য জলবায়ু ঝুঁকি সূচক (সিসিআরআই) অনুযায়ী, বাংলাদেশের শিশুরা জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ‘অতি উচ্চ ঝুঁকিতে’ রয়েছে।

বিবৃতিতে চলমান এই তাপপ্রবাহ থেকে শিশু ও অন্তঃসত্ত্বা নারীদের সুরক্ষার জন্য ইউনিসেফের পক্ষ থেকে কিছু পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়। শিশুর মা–বাবা, পরিবার, পরিচর্যাকারী ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে এসব পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে ইউনিসেফ বলছে, শিশুদের বসার ও খেলার জন্য ঠান্ডা জায়গার ব্যবস্থা করতে হবে। দুপুর ও বিকেলের কয়েক ঘণ্টা তাদের বাড়ির বাইরে বেরোনো থেকে বিরত রাখা দরকার। শিশুদের হালকা ও বাতাস চলাচলের উপযোগী পোশাক পরাতে হবে। শিশুদের প্রচুর পানি পান করানোর বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।

উল্লেখ্য, শিশুদের ওপর তাপমাত্রা বৃদ্ধির নেতিবাচক প্রভাব বিবেচনায় নিয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সারা দেশে ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করেছে। এমন পরিস্থিতিতে ইউনিসেফ অভিভাবকদের প্রতি তাদের সন্তানদের পানিশূন্যতা থেকে রক্ষা ও নিরাপদ রাখতে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানিয়েছে।