বিটিআরসির ১ হাজার ২৪৪টি বাস বিভিন্ন রুটে চলাচল করছে
বিটিআরসির ১ হাজার ২৪৪টি বাস বিভিন্ন রুটে চলাচল করছে

সংসদীয় কমিটির বৈঠক

বিআরটিসি ১৫ বছরে কিনেছে ১৫৫৮ বাস, চলছে ১২৪৪টি

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন (বিআরটিসি) ২০০৯ সাল থেকে গত ১৫ বছরে ১ হাজার ৫৫৮টি বাস কিনেছে। বিদেশি ঋণের আওতায় এই বাসগুলো কেনা হয়। আর এখন বিভিন্ন রুটে চলছে বিআরটিসির ১ হাজার ২৪৪টি বাস। এর বাইরে ১০৬টি বাস মেরামতাধীন।

আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বিআরটিসি এ তথ্য জানিয়েছে। বিআরটিসিকে গাড়ির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে বলেছে সংসদীয় কমিটি।

সংসদীয় কমিটিতে দেওয়া বিআরটিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০৯ সাল থেকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে চারটি প্রকল্পের মাধ্যমে ১ হাজার ৫৫৮টি বাস কেনা হয়। এতে মোট ব্যয় হয় ১ হাজার ২৯৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে নরডিক ডেভেলপমেন্ট ফান্ডের ঋণে ১১৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকায় চীন থেকে নেওয়া হয় ২৭৫টি বাস। ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট করপোরেশন ফান্ডের ঋণের আওতায় ২৭৮ কোটি ২৮ লাখ টাকায় দক্ষিণ কোরিয়া থেকে নেওয়া হয় ২৫৫টি সিএনজিচালিত এসি ও নন-এসি বাস। ইন্ডিয়ান ডলার ক্রেডিট লাইনের আওতায় ৩৭৯ কোটি ৩৩ লাখ টাকায় ভারত থেকে ২৯০টি দোতলা বাস, ৮৮টি একতলা এবং ৫০টি আর্টিকুলেটেড বাস নেওয়া হয়। ভারতের লাইন অব ক্রেডিটের (এলওসি-২) আওতায় ৫২৭ কোটি ১২ লাখ টাকায় ৩০০টি দোতলা বাস, ১০০টি নন-এসি একতলা বাস, ১০০টি একতলা এসি বাস ও ১০০টি একতলা এসি ইন্টারসিটি বাস নেওয়া হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সংসদীয় কমিটিকে বিআরটিসি জানিয়েছে, গত মে মাস পর্যন্ত হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, দেশের ২০৩টি রুটে বিআরটিসির ১ হাজার ২৪৪টি বাস চলাচল করছে। তাদের আয় বাড়াতে বহরে নতুন ইলেকট্রিক ও সিএনজিচালিত বাস সংযোজন, আন্তর্জাতিক রুটের সংখ্যা বাড়ানো প্রয়োজন। এ জন্য বরিশাল-কলকাতা, চট্টগ্রাম-কলকাতা, ঢাকা-গ্যাংটক (সিকিম)-দার্জিলিং, ঢাকা-নেপাল আন্তর্জাতিক রুটে বাস চালু, ইলেকট্রনিক ভেহিকলসহ নতুন মডেলের বাস বহরে যুক্ত করা যেতে পারে।

বৈঠক শেষে সংসদ সচিবালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিআরটিসির চালক নিয়োগের সময় মনস্তাত্ত্বিক পরীক্ষা, লাইসেন্স ব্যবস্থার নজরদারি বাড়ানো এবং গাড়ির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটিকে লাভজনক রাখার জন্য বৈঠকে গুরুত্বারোপ করা হয়। এ ছাড়া কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার মরিচাখালি থেকে মিঠামইন উপজেলা পর্যন্ত বাস্তবায়নাধীন উড়ালসড়ক ও কিশোরগঞ্জ থেকে ঢাকার সংযোগ রাস্তাগুলো দ্রুততার সঙ্গে সঠিকভাবে শেষ করা, হাওরাঞ্চলে শুষ্ক মৌসুমে চলাচলের জন্য ব্যবহৃত ফেরিব্যবস্থা সাশ্রয়ী করার জন্য মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করে কমিটি।

কমিটির সভাপতি রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিকের সভাপতিত্বে কমিটির সদস্য আবু জাহির, সেখ সালাহউদ্দিন, মুজিবুল হক, জাহাঙ্গীর আলম, আব্দুল্লাহ-আল-কায়সার, মোহাম্মদ গোলাম ফারুক ও নাছিমা জামান বৈঠকে অংশ নেন।