রাজধানী ঢাকাসহ দেশের কিছু কিছু এলাকায় ডাকাতি, চুরি ও ছিনতাইয়ের খবর পাওয়া গেছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে এসব ঘটনার খবর পাওয়া যায়। কেউ কেউ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও তাঁর এলাকায় ডাকাতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন।
ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকার কয়েকটি বাসার বাসিন্দারা বলেন, গতকাল রাতে সেখানে ডাকাতি হয়েছে। বসিলা এলাকার এক বাসিন্দা মো. সেকান্দার প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল গভীর রাতে একদল লোক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাঁদের পাশের বাসায় এসে হামলা করে। জোরপূর্বক বাসার মূল ফটক খুলে তাঁরা নগদ টাকা, অলংকার লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
ওই এলাকার আরও কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলেছে প্রথম আলো। তাঁরা বলেন, মোহাম্মদপুরের নবীনগর, নবোদয় হাউজিং ও ঢাকা উদ্যান এলাকার কয়েকটি বাসায় গতকাল রাতে ডাকাতি হয়েছে। যেসব বাসায় ডাকাতি হয়েছে, সেখানে বাসিন্দারা চিৎকার করে সাহায্য চেয়েছেন। কিন্তু কেউ এগিয়ে যেতে সাহস পাননি। বাসিন্দারা আরও বলেন, কয়েকটি দোকান ভেঙে জিনিসপত্র লুট করা হয়েছে।
দ্রুত সময়ের মধ্যে থানাগুলোকে সক্রিয় করা না হলে এ ধরনের ঘটনা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন বাসিন্দারা। গতকাল রাতে যাত্রাবাড়ী, ডেমরা, বাড্ডা, রামপুরা ও ভাটারা এলাকায় ডাকাতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাসিন্দারা।
ঢাকার বাইরে আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকায় কয়েকটি বাসায় ডাকাতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাসিন্দারা। আশুলিয়ার একটি তেলের পাম্পে চাকরি করেন হাসান মিয়া। তিনি বলেন, তাঁদের এলাকার কয়েকটি বাসা ও দোকানে লুটপাট করেছে দুর্বৃত্তরা। সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা বসে একটি কমিটি গঠন করেছেন। থানায় পুলিশ না আসা পর্যন্ত তাঁরা নিজেরা পাড়া-মহল্লায় পাহারা দেবেন।
বিভিন্ন জেলায়ও ডাকাতির খবর পাওয়া গেছে। নড়াইলে একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন মামুন আবদুল্লাহ নামের এক যুবক। তিনি বলেন, দুই দিন ধরে নড়াইল শহরের বিভিন্ন বাসা ও দোকানে লুটপাট হয়েছে। এ ছাড়া মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার কয়েকটি বাড়িতে হামলা করে জিনিসপত্র লুটপাটের খবর পাওয়া গেছে। টাঙ্গাইলের নাগরপুরেও ডাকাতি হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
জনরোষের মুখে গত সোমবার দুপুরে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। তার পর থেকে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার থানাগুলোতে হামলা হয়। এর পর থেকে তিন দিন ধরে থানাগুলোতে পুলিশের উপস্থিতি কম।