উগ্র সংগঠন আখ্যা দিয়ে দেশে ইসকনের সব কার্যক্রম বন্ধের দাবি জানিয়েছে ইমাম খতিব উলামা পরিষদ। চট্টগ্রামে সেনাবাহিনী ও পুলিশের ওপর হামলার প্রতিবাদে আজ শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁও এলাকার নাবিস্কো মোড়ে এক প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সেখান থেকে ইসকন নিষিদ্ধের দাবি তোলেন তাঁরা।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ইসকনের লোকেরা সাধারণ হিন্দুদের উসকে দিয়ে এ দেশে শান্তিশৃঙ্খলা নষ্ট করার চেষ্টা করছে। এই দেশে হিন্দু–মুসলমানদের মধ্যে হাজার বছরের সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা করা হচ্ছে। যাঁরা সাম্প্রদায়িকতার কথা বলেন, তাঁদের বলতে চান, বাংলাদেশ একটা অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র। এ জন্য সাম্প্রদায়িকতার ধুয়া তুলে তাঁদের ভুল বোঝানো যাবে না। হিন্দু ভাইদের মনে রাখতে হবে শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রেখে অতীতে যেভাবে বসবাস করেছেন, সেভাবে থাকবেন। ইসকনের ফাঁদে পা দেবেন না। চট্টগ্রামে হামলার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তাঁরা।
প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশে ইমাম ওলামা ঐক্য পরিষদের আমির ও তেজগাঁও রহিম মেটাল মসজিদের খতিব মাহমুদুল হাসান মমতাজি বলেন, ভারতের আরএস–এর নতুন সংস্করণ হচ্ছে বাংলাদেশের ইসকন। ভারতে যেমন আরএস সন্ত্রাসী সংগঠন, ইসকনও হচ্ছে একটা সন্ত্রাসী সংগঠন। এর প্রমাণ দিতে বেশি দূরে যেতে হবে না। চট্টগ্রামে সেনাবাহিনী ও পুলিশের ওপর অ্যাসিড নিক্ষেপ তার প্রমাণ।
মাহমুদুল হাসান মমতাজি বলেন, চট্টগ্রামের হামলা ও বিদেশে উপদেষ্টা আসিফ নজরুলকে হেনস্তা একই সূত্রে গাঁথা। দেশের মধ্যে যত যড়যন্ত্র হচ্ছে সবই একই সূত্রে গাঁথা। দেশে যাঁরা ইসকনের পৃষ্ঠপোষক, তাঁদেরও ধরার হুমকি দেন তিনি।
সেনাবাহিনী ও পুলিশের ওপর হামলার প্রতিবাদে রাস্তায় না নামায় রাজনৈতিক দলগুলোর সমালোচনা করেন মাহমুদুল হাসান মমতাজি। তিনি অবিলম্বে ইসকনের নেতাদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান।