ড. ইউনূসের লিভ টু আপিল খারিজ, মামলার কার্যক্রম চলবে

ড. মুহাম্মদ ইউনূস
ফাইল ছবি

শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে করা মামলা বাতিল চেয়ে আবেদন খারিজের বিরুদ্ধে গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসের করা লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ।

আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. নূরুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বিভাগ আজ সোমবার এ আদেশ দেন। এর ফলে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে ঢাকার শ্রম আদালতে থাকা মামলার কার্যক্রম চলতে আইনগত কোনো বাধা নেই, বলছেন সংশ্লিষ্ট আইনজীবী।

ঢাকার শ্রম আদালতে করা মামলা বাতিল চেয়ে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. ইউনূসের করা আবেদন খারিজ করে গত বছরের ১৭ আগস্ট রায় দেন হাইকোর্ট। এই রায়ের বিরুদ্ধে গত বছর আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল করেন ড. ইউনূস। গত মাসে লিভ টু আপিলের ওপর শুনানি শেষে আদালত আজ আদেশের জন্য দিন রাখেন।

আদালতে লিভ টু আপিলকারীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী খাজা তানভীর আহমেদ ও মো. ইব্রাহিম। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

আদেশের পর আইনজীবী খুরশীদ আলম খান প্রথম আলোকে বলেন, ড. ইউনূসের করা লিভ টু আপিল খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। এর ফলে শ্রম আদালতে থাকা মামলার কার্যক্রম চলতে আইনগত কোনো বাধা নেই।

ইউনূসের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন প্রথম আলোকে বলেন, মক্কেলের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের একজন শ্রম পরিদর্শক বাদী হয়ে ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। অপর তিনজন হলেন গ্রামীণ টেলিকমের এমডি আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুর জাহান বেগম ও শাহজাহান।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ড. ইউনূসের গ্রামীণ টেলিকম পরিদর্শনে যান। সেখানে গিয়ে তাঁরা শ্রম আইনের কিছু লঙ্ঘন দেখতে পান। এর মধ্যে কয়েকজন শ্রমিক-কর্মচারীকে স্থায়ী করার কথা থাকলেও তাঁদের স্থায়ী করা হয়নি। শ্রমিকদের অংশগ্রহণের তহবিল ও কল্যাণ তহবিল গঠন করা হয়নি। এ ছাড়া শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ দেওয়ার কথা থাকলেও তা দেওয়া হয়নি।